ভুলে যাচ্ছেন আমি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী: ধনখড়কে বেনজির কড়া চিঠি মমতার
সঙ্ঘাত তুঙ্গে পৌঁছনোর উপক্রম। অভূতপূর্ব কড়া ভাষায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচ পাতার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরলেন কয়েক দিন আগে তাঁকেই রাজ্যপালের পাঠানো একটি চিঠির বয়ান। তুলে ধরলেন রাজ্যপালের একটি এসএমএসের বয়ানও। যে ভাষায় রাজ্যপাল চিঠি লিখছেন একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে, তা অত্যন্ত আপত্তিকর— ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘‘আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে যে, আপনি ভুলে গিয়েছেন, আমি একটি গর্বিত ভারতীয় রাজ্যের একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী।’’ ধনখড়কে এ দিন এ রকমই লিখেছেন মমতা।
জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সঙ্ঘাত বাড়ছে। ফলে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মতান্তর এর আগেও একাধিক বার প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ধনখড়ের পূর্বসূরি কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মতান্তরও প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিঠি জগদীপ ধনখড়কে পাঠিয়েছেন, সে রকম চিঠি বেশ নজিরবিহীন।
চিঠির শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘আপনি ২০ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে আমাকে যে চিঠি লিখেছিলেন, আমি ২১ এপ্রিল, ২০২০ সালে আপনাকে তার যে উত্তর দিয়েছিলাম এবং ২২ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে সকাল ৭টা নাগাদ আবার আপনি আমাকে যে এসএমএস পাঠিয়েছিলেন, সেই সবের বিষয়েই এই চিঠি লিখছি।’’ এর পরে রাজ্যপালের ২২ তারিখের এসএমএসের গোটা বয়ানটাই নিজের চিঠিতে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই ভাষায় এসএমএস পাঠানো তাঁর উচিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভুলে যাচ্ছেন আমি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী: ধনখড়কে বেনজির কড়া চিঠি মমতার
অভূতপূর্ব কড়া ভাষায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সঙ্ঘাত তুঙ্গে পৌঁছনোর উপক্রম। অভূতপূর্ব কড়া ভাষায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচ পাতার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরলেন কয়েক দিন আগে তাঁকেই রাজ্যপালের পাঠানো একটি চিঠির বয়ান। তুলে ধরলেন রাজ্যপালের একটি এসএমএসের বয়ানও। যে ভাষায় রাজ্যপাল চিঠি লিখছেন একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে, তা অত্যন্ত আপত্তিকর— ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘‘আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে যে, আপনি ভুলে গিয়েছেন, আমি একটি গর্বিত ভারতীয় রাজ্যের একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী।’’ ধনখড়কে এ দিন এ রকমই লিখেছেন মমতা।
জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সঙ্ঘাত বাড়ছে। ফলে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মতান্তর এর আগেও একাধিক বার প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ধনখড়ের পূর্বসূরি কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মতান্তরও প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিঠি জগদীপ ধনখড়কে পাঠিয়েছেন, সে রকম চিঠি বেশ নজিরবিহীন।
চিঠির শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘আপনি ২০ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে আমাকে যে চিঠি লিখেছিলেন, আমি ২১ এপ্রিল, ২০২০ সালে আপনাকে তার যে উত্তর দিয়েছিলাম এবং ২২ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে সকাল ৭টা নাগাদ আবার আপনি আমাকে যে এসএমএস পাঠিয়েছিলেন, সেই সবের বিষয়েই এই চিঠি লিখছি।’’ এর পরে রাজ্যপালের ২২ তারিখের এসএমএসের গোটা বয়ানটাই নিজের চিঠিতে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই ভাষায় এসএমএস পাঠানো তাঁর উচিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন যে, তাঁর যে চিঠির উত্তরে রাজ্যপাল ওই এসএমএস পাঠিয়েছেন, আগে-পিছে কোনও কিছু না জেনে যদি কেউ ওই এসএমএস পড়েন, তা হলে তিনি ভাববেন যে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) যে চিঠি ২১ এপ্রিল রাজ্যপালকে পাঠিয়েছিলেন, সে চিঠিতে নিশ্চয়ই কোনও ‘অকথ্য এবং (অ)সাংবিধানিক পাপ’ ছিল অথবা কারও মনে হতে পারে ওই চিঠিতে রাজ্যপালের প্রতি অপমানজনক কিছু ছিল। এ কথা লেখার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সেই চিঠির বয়ানও এ দিনের চিঠিতে তুলে ধরেছেন। চার লাইনের সে চিঠিতে লেখা: ‘‘মাননীয় রাজ্যপাল, ২০ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে আমাকে আপনি যে চিঠি লিখেছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি নিঃসন্দেহে বুঝতে পারবেন যে, গোটা রাজ্য সরকারই এখন কোভিড-১৯ অতিমারির মোকাবিলায় রত। এটা আপনাকে জানিয়ে রাখলাম।’’
এই চিঠি তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন যে, এই চিঠি কোনও ভাবে কারও জন্য অপমানজনক নয়। তার পরেই মমতা মনে করিয়েছেন যে, রাজ্যপালের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তিনি মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যপাল পদে বসেছেন। তাঁর সরকার যে একটা নির্বাচিত সরকার, সে কথা রাজ্যপাল সম্ভবত ভুলে যাচ্ছেন— লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।