স্যানিটাইজার, মাস্ক ও পিপিই তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলা
স্যানিটাইজার, মাস্ক ও পিপিই তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হল বাংলা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলার তৈরি নিজস্ব সামগ্রীই সবচেয়ে কাজে লাগছে। মাত্র তিন সপ্তাহেই রাজ্য স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং পিপিই কিট বানাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলা। রাজ্যের এমএসএমই দপ্তর এই অসাধ্য সাধন করেছে।
রাজ্য ইতিমধ্যেই ১.৮ লক্ষ লিটার স্যানিটাইজার উৎপাদন করেছে। হাসপাতালের সাথে সাথে ওষুধের দোকানেও এর প্রয়োজন মতো যোগান দেওয়া হয়েছে। প্রচুর মাস্কও তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্য এমএসএমই দপ্তরের সচিব রাজেশ পান্ডে বলে, গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরেও মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে একজনও আক্রান্ত হননি। ১৭ই মার্চ প্রথম আক্রান্ত চিহ্নিত হওয়ার পরেই রাজ্য অত্যন্ত তৎপরতার সাথে সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান দিয়েছে।
তিনি আরও জানান যে কলকাতায় যখন স্যানিটাইজারের আকাল দেখা দিয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন যে গতানুগতিক পথে চললে এই অবস্থা মোকাবিলা করা যাবে না। তাই কলকাতার আশেপাশে সব এমএসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযগ করা হয় যারা রাসায়নিকের ওপর কাজ করে।
প্রথম সপ্তাহে ৪০,০০০ লিটার স্যানিটাইজার উৎপাদন হয়, কিন্তু তাতেও ঘাটতি মিটত না। তাই সরকার ইথাইল অ্যালকোহল ব্যবহারে ছাড় দিল।রাজ্যে বাড়তি একরকম নিউট্রাল অ্যালকোহল তৈরি হয়। এটিই স্যানিটাইজার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আপাতত ১০ লক্ষ লিটার ইথাই অ্যালকোহলের যোগান রয়েছে। হাসপাতালে দেওয়ার পর ওষুধের দোকানে যোগান দেওয়ার জন্যে দপ্তরের কাছে ১২,০০০ লিটার রয়েছে। রাজ্যে আপাতত স্যানিটাইজারের যথেষ্ট যোগান রয়েছে। দশটি সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে।
রাজেশ পান্ডে এও জানান যে করোনা সংক্রমণের পর রাজ্য কেন্দ্রের কাছে ৫ লক্ষ পিপিই কিট চায়। কিন্তু আসে মাত্র ৩,০০০। পিপিই কিট তৈরির কাঁচা মাল আসছে হলদিয়া থেকে। আর এই কিট তৈরিতে যে নীল টেপ লাগে তা বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। মেটিয়াবুরুজ গার্মেন্টস ক্লাস্টার সহ মোট ৩০০ সংস্থা প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ পিপিই কিট তৈরি করছে। তাছাড়া এন-৯৫ মাস্ক তৈরিতেও এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্য।