স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার যন্ত্র বানালেন পুরকর্মীরাই
করোনা সংক্রমণ রুখতে পুরসভারই কয়েকজন কর্মীর প্রচেষ্টায় বানানো অটোমেটিক স্যানিটাইজার টানেল বসল উত্তর দমদম পুরসভার প্রধান প্রবেশপথে। এর মাধ্যমে গেট দিয়ে ঢোকা ও বেরনোর সময় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রত্যেকের শরীরে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হবে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা ঠেকানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা শহরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে আগেই বসেছে এই স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার টানেল মেশিন। বেসরকারি সংস্থা বরাত নিয়ে তা বসিয়েছে৷ কিন্তু উত্তর দমদম পুরসভার জল ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মী কোনও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা না-নিয়ে মাত্র দু’দিনের প্রচেষ্টায় বানিয়ে ফেললেন স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজার টানেল।
বুধবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পুরসভার প্রধান গেটে বসানো হয়েছে সেটি। স্টিলের কয়েকটি পাইপ ও পলিথিন জুড়ে দু’দিক খোলা টানেলটি তৈরি করা হয়েছে। মাথায় বসানো হয়েছে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। যেটি নীচে বসানো সেন্সর মেশিনের সাথে যুক্ত। টানেলের মধ্যে কারও পা পড়লেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে উপর থেকে অন্য একটি মেশিনের সাহায্যে শরীরে কুয়াশার আকারে জল পড়বে৷ কিন্তু তীব্র গতিবেগসম্পন্ন ওই ‘কুয়াশা’য় গা ভেজার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। ৫ লিটার জলে টানা ৪ ঘণ্টা মেশিনটি চলতে পারবে। জল ফুরিয়ে গেলে আবার জলের সঙ্গে জীবাণুনাশক মিশিয়ে দিলে আবারও চলবে টানেল মেশিনটি।
যন্ত্রটির প্রধান নির্মাতা, জল বিভাগের কর্মী সঞ্জয় দাস বলেন, ‘হঠাৎ বিষয়টি মাথায় এসেছিল। পুরসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু করি। যে পদ্ধতিতে আমরা বানিয়েছি, তাতে খরচও অনেক কম। যদি ভাল সাড়া পাওয়া যায়, তাহলে আরও বানানো হবে।’ উত্তর দমদম পুরসভার পুরসভার চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী এদিন বলেন, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আগামী দিনে এমন মেশিন পুরসভা এলাকার বাজার, হাসপাতালের গেটে বসানো হবে। কোনও ব্যাঙ্ক যদি যোগাযোগ করে, সেখানেও স্বল্পমূল্যে স্যানিটাইজার টানেল মেশিন বসিয়ে দেব।’