করোনা-পট এঁকে গান বাঁধছেন স্বর্ণ
করোনা নিয়ে পটচিত্র এঁকে সচেতনতা প্রচারে গান বাঁধলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পটশিল্পীরা। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের থাবা। বিশ্বের বাজারে মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলার পটশিল্প। নিজেদের এই ভবিষ্যৎ জেনেও দেশবাসীকে সচেতন করতে করোনা নিয়ে পটচিত্র এঁকে সচেতনতার গান বাঁধছেন পিংলার পটশিল্পীরা। এই লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জন বিভিন্ন ছবি, ভিডিও, লেখা পোস্ট করছেন।
বাড়ির বাইরে বেরোনোর উপায় নেই পটশিল্পীদেরও। তাই করোনা ভাইরাস নিয়ে পটচিত্র এঁকে গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে সচেতন করতে চেয়েছেন, পিংলার নয়া গ্রামের স্বনামধন্য পটচিত্র শিল্পী স্বর্ণ চিত্রকর। করোনা ভাইরাস নিয়ে শিল্পী স্বর্ণর গাওয়া গান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে বাংলা নাটক ডট কম। যারা সারা বছর পটশিল্পীদের নিয়ে কাজ করে।
এর আগেও বিভিন্ন সচেতনতা প্রচারে এগিয়ে আস্তে দেখা গেছে পটচিত্র শিল্পীদের। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পটচিত্র এঁকেছেন, গান বেঁধেছেন, সমাজে প্রচার করে বেড়িয়েছেন। এ বার লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতা প্রচারের জন্য করোনা নিয়ে পট এঁকে গান বেঁধেছেন শিল্পী স্বর্ণ চিত্রকর।
পটশিল্পের বাজার ধরে রাখা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে শিল্পী বলেন, ‘আমাদের কাজ হল নানা বিষয়কে পটচিত্রের মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরা। তাই এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে পট এঁকে গানের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচারের চেষ্টা করলাম।’ স্বর্ণ বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই শিল্প টিকবে কিনা জানি না। তবে আগে মানুষতো বাঁচুক।’
করোনা নিয়ে পট এঁকেছেন নয়ার পটচিত্র শিল্পী গুরুপদ চিত্রকর। গুরুপদ বলেন, ‘সামনে ভয়ঙ্কর দিন। আমরা শুনেছি, সত্তরের এর দশকে আমাদের পূর্ব পুরুষরা পট ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছিলেন। নব্বই এর দশকে আবার পট শিল্পে ফিরতে করে। ২০০০ সালের পর থেকে পটের চাহিদা বাড়তে থাকে বিশ্ব জুড়ে। আগামী দিনে আবার পটশিল্পীদের অন্য পেশায় না যেতে হয়!’
পটশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পটচিত্র শিল্পী বাহাদুর চিত্রকর, সানুয়ার চিত্রকর, দুখুশ্যাম চিত্রকররা।