ফের ভুয়ো ভিডিও, মামলা পুলিশের
মার্কেটের মধ্যে নাকি গিজগিজ করছে লোক। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন উপেক্ষা করে রমজান মাসের শুরুতে লোকজন দিব্যি কেনাকাটা করছেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বালাই নেই। ‘বিশেষ উদ্দেশ্যে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ রকমই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলা হয়েছিল, এ ছবি কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকার।
কী ভাবে সেখানে করোনা সতর্কতার মধ্যে লকডাউন উপেক্ষা করে লোকজন রাস্তায় ভিড় করেছেন, তার ‘প্রমাণ’ হিসাবে ওই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। অচিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হয় ওই ভিডিয়ো নিয়ে। কিছুক্ষণ পরেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ভিডিয়োটি ভুয়ো। লকডাউনের মধ্যে এমন ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এহেন অপপ্রচারের অভিযোগে পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ভিডিয়োটি মেটিয়াবুরুজের মুদিয়ালি মার্কেটের বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। সামনেই ঈদ। সেই উপলক্ষ্যে ইফতারের আগে বাজারে কেনাকাটা চলছে বলে দাবি করা হয়। আর ওই ভিডিয়ো শনিবার তোলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অথচ পুলিশ আধিকারিকরা ভিডিয়োটি বিশ্লেষণ করে দেখেন, সেখানে একটি দোকানের ছবি দেখা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ওই নামের দোকান বাস্তবে রয়েছে মুদিয়ালি মার্কেটের ওই চত্বরে। যে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে, সেটাও মেটিয়াবুরুজের মুদিয়ালি মার্কেটেরই। তবে ভিডিয়োটি কোনও ভাবেই শনিবার তোলা নয়। সম্ভবত ওই ভিডিয়োটি লকডাউন শুরু হওয়ার আগে তোলা।
এক পুলিশ আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ২৩ মার্চ এ রাজ্যে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই কোনও এক সময় ভিডিয়োটি মোবাইলবন্দি করা হয়েছিল। তার পর সেটি লকডাউন পর্বের বলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার ওই চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরার আসল ফুটেজের কিছু অংশও লালবাজারের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই চত্বরে ভিড় নেই। লকডাউন মেনেই চলছেন স্থানীয়রা। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ভুয়ো খবর ছড়ানোয় ছেদ নেই।