লকডাউনে বাড়িতে বসে উপভোগ করুন এই বিতর্কিত হিন্দি সিনেমাগুলি
সিনেমায় যেমন রয়েছে গ্ল্যামার, নাম, যশ , টাকা পয়সা, তেমনি তার সাথেই আরো একটা জিনিস কিছুতেই পিছু ছাড়ে না – সমালোচনা। সব সিনামাকেই কম বেশি সমালোচকদের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু কিছু কিছু সিনেমায় সমালোচনা পৌঁছে যায় বিতর্কের পর্যায়।
এক নজরে দেখে নিন এমন কিছু সিনেমার তালিকা যেগুলো নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল
পিকেঃ
এই ছবিতে পিকে নামের এক মানব-আকৃতির ভিনগ্রহবাসীর গল্প বলা হয়েছে, যে এক তরুণী টিভি সাংবাদিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এবং তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অনেক হিন্দু সংগঠন দাবি করেছিল এই ছবির বেশ কিছু দৃশ্য ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করে।
পাঁচঃ
এই সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের কড়া নজরে পড়ে এবং সিনেমা রিলিজের আগেই লিক হয়ে যায়।
সিদ্ধার্থঃ
এই সিনেমা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছিল সিমি গাড়েওয়ালের দুঃসাহসী দৃশ্যের কারণে। সেন্সর বোর্ড তখন এতোটাই স্পর্শকাতর ছিল যে সিনেমা থেকে চুমুর দৃশ্যও কেটে দেওয়া হয়।
সত্যম শিবম সুন্দরমঃ
জিনাত আমানের সাহসী দৃশ্যগুলির জন্যে এই সিনেমাকে কিছু সময়ের জন্যে ব্যান করা হয়। পুরো সিনেমা জুড়েই জিনাত আমানকে খোলামেলা পোশাকে দেখা যায়। পরবর্তীতে ব্যান তুলে নেওয়া হয় এবং সিনেমাটি প্রচুর সফলতা পায়।
আন্ধিঃ
আদ্যোপান্ত একটি রাজনৈতিক ছবি। এখানে ইন্দিরা গান্ধীর জীবন দেখানো হয়। ইন্দিরা গান্ধী সরকার এই সিনেমাটিকে ব্যান করে। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে ব্যান তুলে নেওয়া হয় এবং সিনেমাটিকে দূরদর্শনে সম্প্রচার করা হয়।
মাদ্রাস ক্যাফেঃ
নাম না করলেও এ ছবিতে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার নেপথ্য কাহিনি৷ থমথমে ঝুঁকির মাঝে কাজ করছেন এক ‘র’ এজেন্ট৷ হাই-ভোল্টেজ ফিল্ম৷ কিছু তামিল সংগঠন এই সিনেমার ব্যান দাবী করে বসে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডেঃ
এই সিনেমাটি ১৯৯৩ সালের মুম্বই ব্লাস্ট নিয়ে তৈরি। যেহেতু অপরাধীরা এখনো পুলিশি হেফাজতে, তাই অনেকেই মনে করেন এই সিনেমা কোর্টের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে। সেই কারনেই এই সিনেমা ২ বছর ব্যান ছিল।
সিন্সঃ
সত্যি ঘটনা অবলম্বনে এই সিনেমাটি তৈরি। এক খ্রীস্টান ধর্মযাজক এক মহিলার সাথে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হন। এই স্পর্শ কাতর গল্পের জন্যেই এই ছবিটির বৈজ্ঞাপনিক প্রচার করেনি কোন টিভি চ্যানেল।
মাই নেম ইজ খানঃ
এই সিনেমার গল্প ৯/১১-র পর কি চোখে মুসলিমদের দেখা হত এবং তাদের সাথে ব্যবহার করা হত, সেই নিয়ে। শাহরুখ খান এই সিনেমা রিলিজের আগে এক পাক ক্রিকেটারকে আইপিল-এ আমন্ত্রন করায় শিব সেনা সিনেমা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ওয়াটারঃ
দীপা মেহতার এই সিনেমায় দেখানো হয় হিন্দু বিধবারা কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হয় বেনারসের আশ্রমগুলিতে। এই সিনেমা হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করায় সিনেমার পোস্টার পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।