চীন থেকে আসা কিটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল আইসিএমআর
পশ্চিমবঙ্গ-রাজস্থানের অভিযোগ সঠিক। শেষপর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) তা মানল। করোনা নির্ণয়ে চীন থেকে আসা র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের ব্যবহারে সোমবার ইতি টানল তারা। রাজ্য সরকারগুলিকে কিটগুলি সরবরাহকারীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি,কিট নির্মাতা দুই চীনা সংস্থাকে দেওয়া বরাত বাতিল করল কেন্দ্র। আগে থেকে টাকা না মেটানোয় এক্ষেত্রে মোদি সরকারকে বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। কিট বাতিল হওয়ায় করোনা নির্ণয়ে আরও ঝক্কি বাড়ল বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিত্সকরা।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘আইসিএমআর জানিয়েছে, প্রয়োজনের থেকে বেশি আরটি পিসিআর টেস্ট কিট আছে। সেগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী সব রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। তাই এটা কোনও সমস্যা নয়।’ তবে এই পদ্ধতিতে রিপের্ট আশতে সময় লাগছে।
প্রাথমিক কিছু উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয়ের জন্য আইসিএমআর প্রথম থেকেই র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহারের কথা বলে আসছে। গত ২৭ মার্চ চীনের গুয়াংঝৌ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুহাই লিভজন ডায়োগনস্টিকস নামের দুই সংস্থাকে ৫ লক্ষ কিটের বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়ার পর দেখা যায়, সেগুলি ঠিক মতো কাজ করছে না। কিটে গলদ থাকায় সময় বেশি লাগার অভিযোগ তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজস্থান সরকারও জানায়, মাত্র ৫.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে কিট ফলপ্রসূ হচ্ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ওই কিটে পরীক্ষা বন্ধ করে আইসিএমআর। পরে সেগুলিতে ত্রুটি ধরতে পারেন সংস্থার গবেষকরা। এরপরই এদিন আইসিএমআর-এর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ। রাজ্যগুলিকেও তা ব্যবহার না করার কথা জানানো হয়। চীনা কিটের দাম নিয়েও গতকাল দিল্লি হাইকোর্টে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চীনা কিটের গুণমান নিয়ে এর আগে ব্রিটেন, স্পেন, চেক প্রজাতন্ত্র, তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ডসও প্রশ্ন তুলেছিল।