দেশে করোনায় মৃত্যুর ৬০ শতাংশই মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে, আক্রান্তের মাত্র ২.৫ শতাংশ বাংলার – প্রকাশ রিপোর্টে
মঙ্গলবার সাতটি চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরে তাঁদের প্রস্তাব মেনে এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া পরামর্শ দিতে চলেছে নবান্ন। জানা গেছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী গেলে ফেরানো যাবে না। আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনে সব বেসরকারি হাসপাতালকেই কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করতে হবে। এই বিষয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, ‘সরকার কখনও বলেনি, বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা করতে পারবে না। যাতে বেসরকারি হাসপাতাল কোনও রোগী না ফেরায়, সে জন্য সরকার নির্দেশিকা জারি করবে। শুধু কোভিড নয়, অন্য রোগীদের চিকিৎসাও যাতে বেসরকারি হাসপাতালগুলি যথাযথ হয়, তা-ও বলা হবে।’
মুখ্যসচিবের বক্তব্য, ‘এখনও পর্যন্ত সারা দেশের করোনা আক্রান্তের ২.৫ শতাংশ এই রাজ্যে। অথচ সারা দেশের মোট করোনা শয্যার ৭.৫ শতাংশ এখানেই। এম আর বাঙুরে ১১০০, রাজারহাট ক্যানসার হাসপাতালে ৪০০ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য রয়েছে। তারপরেও কোনও রোগী যদি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান, তা হলে নিষেধ করতে পারি না। সেই কারণেই নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে।’
এদিকে জানা গেছে, গতকাল মহারাষ্ট্র ও গুজরাট, এই দুই রাজ্যে ৫০ জনেরও বেশি কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। দেশে এই সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০০ ছাড়াল। দুই রাজ্যে মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশ ঘটেছে। আহমেদাবাদে ফের একবার একইদিনে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। ফলে সেই শহরে মৃত্যুর সংখ্যা ১২৯। দু দিন আগে এখানে একইদিনে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছি। মহারাষ্ট্রে মোট ৩১ জনের মধ্যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মুম্বইতে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কয়েকদিন আগে মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের টেস্টের রেজাল্ট এসেছে মঙ্গলবার। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে এই রোগে অন্তত ৫৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।