কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সিপিএমের দপ্তর অবরুদ্ধ করোনায়

April 30, 2020 | 2 min read

অবরুদ্ধ! ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হওয়ার সময়ে যা হয়নি, নকশাল আন্দোলনের সময়ে যা হয়নি, বাবরি ধ্বংসের সময়েও যা হয়নি, এ বার সেটাই হল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ব্যারিকেডের মুখে পড়ল সিপিএম রাজ্য দপ্তর!

করোনা সংক্রমণের কারণে কনটেনমেন্টের জেরে এজেসি বোস রোডের মোড় থেকে ব্যারিকেড করা হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। ওই গলিপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিপিএম রাজ্য দপ্তরের প্রবেশপথও অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন ব্যারিকেড করে দেওয়া ইস্তক সিপিএম নেতারা আপাতত রাজ্য দপ্তরে যাচ্ছেন না। 

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেই থাকেন। তা ছাড়া, দলের রাজ্য দপ্তরের সর্বক্ষণের কয়েকজন কর্মী থাকেন সেখানেই। তাঁরাই আপাতত সিপিএম রাজ্য দপ্তরে রয়েছেন। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ব্যারিকেড তৈরি হওয়ার আগে রাজ্য দপ্তরে গিয়েছেন। আপাতত তিনি বাড়ি থেকে কাজ করছেন। 

সিপিএমের দপ্তর অবরুদ্ধ করোনায়

সিপিএমের প্রথম সারির অন্যান্য নেতৃত্ব হয় বাড়ি থেকে নয়তো পার্টির অন্য কার্যালয় থেকে কাজ করছেন। কনটেনমেনট জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় অন্য তল্লাট বা পাড়ার লোকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কনটেনমেন্ট জোন থেকেও বাইরে যাওয়াআসা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেই জন্যই যে সিপিএম নেতারা নিয়মিত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে যেতেন, তাঁরা এখন সেখানে যাচ্ছেন না।

তবে পাশে এজেসি বোস রোডে সিটু-র দপ্তর কিংবা পার্টির কলকাতা জেলা অফিস থেকে কাজ চালাচ্ছেন সিপিএম নেতারা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও সিটু-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহুর কথায়, ‘রাজ্য দপ্তরের রাস্তায় ব্যারিকেড থাকলেও সিটু দপ্তরের রাস্তায় কোনও ব্যারিকেড নেই। ফলে, সিটু অফিসে কাজকর্ম চলছে।’ আবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দপ্তরের বেশ কয়েক জন কর্মী ওই তল্লাটেই থাকেন। রাজ্য দপ্তরে যেতে তাঁদের বাধা নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #Lockdown, #Cpim

আরো দেখুন