করোনা রুখতে আয়ুর্বেদে আস্থা আয়ুষ মন্ত্রকের
রোগমুক্তিতে এ বার ভারতীয় আয়ুর্বেদে আস্থা রাখার দিন আবার এসেছে। অন্তত আয়ুষ মন্ত্রকের সাম্প্রতিক দাবী সে কথাই বলছে। করোনা মোকাবিলায় আয়ুর্বেদের ভূমিকাকে এড়িয়ে সমাধানসূত্রে পৌঁছতে চাইলে তা আরও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠবে বলেও দাবী করেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস মূলত শ্বাসনালীকে আক্রমণ করে। ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নয়। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের হাতে এমন অনেক অস্ত্র আছে যার সাহায্যে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের ইমিউনিটি বাড়িয়ে সুরক্ষিত রাখা যায়।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দাবী, যে সব রোগীর কোভিড-১৯-এর তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও উপসর্গ নেই তাঁদের উপর আয়ুর্বেদ প্রয়োগ করে ভাইরাস মুক্ত করা অনেক সহজ। কেরল, গোয়া ইত্যাদি রাজ্যেও ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কি সেই ব্যবস্থা?
- প্রতি দিন গুলঞ্চ সেবন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
- গরম জল খাদ্য হজমে সাহায্য় করে। তাই গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে সেই জল ঘন ঘন খেতে পারেন। ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফলও বেশী করে খাওয়া উচিত।
- নিয়মিত অন্তত ১৫ মিনিট যোগ প্রাণায়াম করতে পারেন।
- রান্নাঘরের নিত্যব্যবহৃত ভেষজ যেমন: হলুদ, জিরা, ধনে, রসুন ইত্যাদি রাখুন মশলার তালিকায়।
- ক্রনিক গলার সমস্যা বা শুকনো কাশির ক্ষেত্রে দিনে এক বার পুদিনা পাতা বা আজওয়ান পাতার বাষ্প গ্রহণ।
- লবঙ্গ-চূর্ণকে মধু অথবা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’-তিন বার খাওয়া যেতে পারে।
- প্রতি দিন সকালে ১০ গ্রাম চ্যবনপ্রাশ খাওয়ায় উপকারী।
- তুলসি, দারচিনি, গোলমরিচ-চূর্ণ সমৃদ্ধ চা খেতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধিতে গুড় বা লেবু মেশানো যেতে পারে।
- আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো ১৫০ মিলিলিটার উষ্ণ দুধে মিশিয়ে খেলেও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে।
এই সব নিয়ম মেনে চললে কোভিড-১৯-এর মারাত্মক সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় বলে দাবী আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের। এ ছাড়াও কোভিডের প্রকোপে অসুস্থ হয়ে পড়লে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কয়েকটি ওষুধের সাহায্য নিয়ে রোগের বাড়বাড়ন্ত থামিয়ে দেওয়া সম্ভব বলেও তাঁদের মত।