কেন্দ্রীয় সাহায্য না পেলে বন্ধ হবে ২৫% রেস্তোরাঁ
ব্যবসা হারানো রেস্টুরেন্ট সংস্থাগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত কোনও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা না করলে দেশের প্রতি ১০টি রেস্টুরেন্ট পিছু চারটি রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। লকডাউনের আগে দেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার মোট পরিমাণ ছিল ৪ লক্ষ কোটি টাকা এবং এই ক্ষেত্রে ৭০ লক্ষ ব্যক্তি কাজ করতেন।
ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার দাবি, লকডাউনের জেরে ফুড ডেলিভারি ব্যবসা ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। লকডাউন উঠে গেলেও দীর্ঘদিন রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া বা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করার প্রবণতা আগের জায়গায় ফিরবে না। বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই ও বেতন কমানোর কারণে লোকে এখন অনাবশ্যক খরচ করতে ভয় পাবে। ফলে, এই রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগবে।
এ মাসের গোড়ায় স্যুইগি তাদের নিজেদের বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ব্র্যান্ড কিচেন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেডসির কন্সালটিংয়ের হিসাব অনুযায়ী, ফুড ডেলিভারি ব্যবসাই এক বছরের বেশি সময় নেবে লকডাউনের আগের অবস্থায় ফিরে আসতে। ক্লাউড কিচেনগুলিও ব্যবসা হারাচ্ছে। এই কিচেনগুলি মূলত স্যুইগি বা জোমাটোর মতো সংস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের খাবার ডেলিভারি করে। তথাকথিত রেস্টুরেন্ট আউটলেট বলতে কিছু নেই।
বড় ব্র্যান্ডের রেস্টুরেন্ট চেইনগুলিও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অন্য উপায় খুঁজছে। ফাসোস এবং বেহরুজ বিরিয়ানি রেস্টুরেন্ট চেইনের মালিক সংস্থা রেবেল ফুডস ডু-ইট-ইয়োরসেল্ফ মিল কিট ডেলিভারি করার কথা ভাবছে, সংস্থার সিইও জয়দীপ বর্মন জানান। দেশের সবচেয়ে বড় ক্লাউড কিচেন চেইনটি শীঘ্রই আগে থেকে ম্যারিনেট করা রেডি-টু-কুক ফুড বিক্রি করতে শুরু করবে। ডু-ইট-ইয়োরসেল্ফ মিল কিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয়।
ওয়াও মোমো, ডমিনোজের মতো সংস্থাগুলির পাশাপাশি মাসকিউ, বম্বে ক্যান্টিনের মতো ফাইন ডাইনিং ব্রান্ড এবং অ্যাকর, হিল্টন বা কনরাডের মতো হোটেল চেইনগুলিও এখন হোম ডেলিভারির ব্যবসায় নামছে।