লকডাউন নিয়ে এসেছে বেকারত্বের অভিশাপ
এই মুহূর্তে দেশে কর্মরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ কোটি তিরিশ লক্ষ। কনজিউমার পিরামিড হাউজহোল্ড সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী এই তথ্যই সামনে এসেছে। গত কয়েক বছরে এই অবস্থার বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। ২০১৬-১৭ বর্ষে দেশে কর্মরত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি ৬০ লক্ষ। এযাবৎ কালের মধ্যে সব থেকে বেশি।
২০১৮-১৯ এ এই সংখ্যা নেমে এসেছিল ৪০ কোটিতে। এবছর অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়। জিডিপির হারের নিয়মিত বৃদ্ধিতেও বেকারত্ব অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি ভারতে। এই সমস্যা কমার বদলে বরং বেড়েছে।
এই অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে এই লকডাউনে। বহু মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছে। কারণ তারা যেসব কাজ করে তা এই অবস্থায় বা বাড়ি বসে করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেও এই অবস্থার কোন উন্নতি করতে পারবেন না। কারণ এই সমস্যাটা কাঠামোগত। এর প্রধান কারণ এই দেশের চাকরির নিয়মের শিথিলতা।
দেশের কর্মরতদের এক তৃতীয়াংশ ছোট ব্যবসায়ী বা দিন মজুর। লকডাউনে এদের অবস্থা হয়ে উঠেছে শোচনীয়। কারণ এদের সবার রোজগার নির্ভর করে দৈনিক আয়ের ওপর।
এই মুহূর্তে আরো যারা বিপদে পড়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে কৃষকরা। নতুন করে কোন ফসল বোনা যাচ্ছে না। মজদুর পাওয়া যাচ্ছে না। আর বিপদে পড়েছে ছোট ব্যবসায়ীরা। এদের সংখ্যা কর্মরতদের ৬০ শতাংশ। এই মুহূর্তে লকডাউন এই মানুষগুলোর জীবনে অভিশাপের মতো নেমে এসেছে।
আমরা জানি লকডাউন আমাদের এই ভাইরাস থেকে বাঁচাবে। কিন্তু এই খেটে খাওয়া মানুষগুলির ক্ষতি অপূরণীয়।