সত্যজিতের ছবির পোস্টার পরিচয় দেয় এক বাঘা শিল্পীর
সত্যজিৎ রায়ের প্রতিটি সিনেমাই ছিল এক একটি মাস্টারপিস। তার মূল কারণ ছিল তিনি সিনেমা তৈরির সব বিষয়ে নিখুঁত ছিলেন। এবং তিনি সব কাজেই রাখতেন নিজস্বতার ছাপ। তিনি ছিলেন এক কথায় ‘পারফেকশানিস্ট’।
মানিকবাবু নিজে হাতে করতেন সব কিছু। এমনকি সিনেমার পোস্টার নিজেই ডিজাইন করতেন। তাই হয়তো পোষ্টার গুলোতেও থাকত বুদ্ধিমত্তার ছাপ।
দেখে নিন সত্যজিৎ রায়ের নিজের ডিজাইন করা কয়েকটি ছবির পোস্টার:
পথের পাঁচালিঃ
নিজের প্রথম ছবিতে সত্যজিৎ রায় এক ছোট্ট বালকের চোখ দিয়ে গ্রাম্য জীবনকে দেখিয়েছেন। এই পোস্টারে লোকচিত্রের ছাপ রেখেছিলেন পরিচালক।
দেবীঃ
সত্যজিৎ রায় তাঁর অনেক ছবিতেই মেয়েদের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরতে চেয়েছেন। এই ছবির পোস্টারেই পরিচালক দুটি রঙের মধ্যে দিয়ে দ্বৈত সত্ত্বা এবং কুসংস্কারকে তুলে ধরেছেন।
চারুলতাঃ
সত্যজিৎ রায় কত ভালো ছবি আঁকতেন তার পরিচয় এই পোস্টারেই পাওয়া যায়। তিনি নিজের হাতে আঁকেন এই পোস্টার। তুলির এক টানে এক গৃহবধূর একাকীত্বের অবসাদকে অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন।
মহাপুরুষঃ
এই পোস্টারে সত্যজিৎ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সব চরিত্রগুলিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা তৎকালীন হ্যান্ড প্রিন্টেড পোস্টারের জমানায় বড়ই বিরল ছিল।
অরন্যের দিনরাত্রিঃ
এই রহস্যময় ছবির মধ্যে দিয়ে মানিকবাবু শহর এবং গ্রামের দুই জীবনের মধ্যেকার পার্থক্য বোঝাতে চেয়েছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীঃ
এই পোস্টারে সত্যজিৎ নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং ছবির চরিত্রদের আভাষ দিয়েছেন। তিনি নিজের প্রতিটি ছবির একাধিক পোস্টার ডিজাইন করতেন। কোনটা ফটোগ্রাফি দিয়ে তো কোনটা লোগো দিয়ে।
সোনার কেল্লাঃ
ছোটদের জন্যে তৈরি এই সিনেমায় ছোটদের মতো করে ভেবেই তিনি পোস্টার ডিজাইন করেন। যাতে ছোটরা উৎসাহিত হয়।
গনশত্রুঃ
এই পোস্টারে সত্যজিৎ রায় খুব স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেন ছবির প্লট। যেখানে অনেকগুলি আঙুল সমাজের ‘শত্রুর’ দিকে উঠছে।