সব কর্মীদের ফোনে আরোগ্য সেতু, বিতর্ক
সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে প্রত্যেক কর্মীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আগামী ৪ মে থেকে যাতে দেশের প্রতিটি প্রান্তের প্রত্যেক দপ্তরের কর্মীর মোবাইলে ওই অ্যাপ থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে বলেছে কেন্দ্র। কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ ১০০ শতাংশ বলবৎ হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কবার্তা, যদিও কোনও কর্মীর মোবাইলে ওই অ্যাপ না থাকে, সেক্ষেত্রে তার দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানদের উপর।
তবে যাঁরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করছেন, তাঁদের এই তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাতে এই করোনাভাইরাস ট্র্যাকার অ্যাপটির ৩০ কোটি সংস্করণ ডাউনলোড হয়, সে লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ আসলে এমন উন্নতমানের নজরদারি ব্যবস্থা যার পরিচালন ভার কোনও প্রাতিষ্ঠানিক লাগাম ছাড়াই বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থাকছে। প্রযুক্তি আমাদের নিরাপদ রাখে ঠিকই। কিন্তু ভয়কে ব্যবহার করে নাগরিকদের অনুমতি ছাড়াই তাঁদের উপর চালানো উচিত নয়।’
জবাবে এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়ই নেই। তথ্যও দিতে হয় না। শুধুমাত্র কাশি, সর্দি বা পজিটিভ হলে তবে ফর্ম পূরণ করতে হয়।’
যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যাপে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়। বিতর্ক থামার আগে সরকারের এই সিদ্ধান্ত ফেরাল পুরোনো সন্দেহ।