ঢিলে লকডাউন, আক্রান্ত বাড়ছে সল্টলেকে
লকডাউনের শুরুর দিকে সল্টলেকের কয়েকটি ব্লকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল করোনা। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। বিধাননগর পুরনিগম সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩টি ব্লকের ৪ জন। এখন সেখানে ১০টি ব্লকের ১৯ জন বাসিন্দা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিধাননগরে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত।
বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে ভাইরাসঘটিত এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য পুরোপুরি লকডাউন না হওয়াকেই দুষছেন নাগরিকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, প্রথমদিকে ৩২ এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই প্রশাসনের উচিত ছিল, পুরোপুরি লকডাউনের পথে হাঁটা। সেটা হলে আজ এই পরিস্থিতি হত না।
সল্টলেকের বাসিন্দা সংগঠন (বিধাননগর ওয়েলফেয়ার আসোসিয়েশন)-এর সাধারণ সম্পাদক শরৎকুমার মল্লিক বলছেন, ‘সল্টলেকে আক্রান্ত বাড়ছে। এই অবস্থায় কমপ্লিট লকডাউনই একমাত্র রাস্তা। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, একমাসের জন্য কমপ্লিট লকডাউন করা হোক। জানি, নাগরিকদের অসুবিধে হবে, কিন্তু জীবনের থেকে তো কিছু দামি নয়।’
বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ের বক্তব্য, ‘শুরু থেকেই আমরা মানুষকে লকডাউন মেনে চলার আবেদন করছি। কোথাও কেউ আক্রান্ত হলে সেই জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। আশপাশের বাড়ির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
এই অবস্থার জন্য পাল্টা নাগরিকদের একাংশকেও দুষছেন পুর কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, লাগাতার বলার পরেও বাজারে মানুষ ভিড় করছেন। নাগরিকদেরও সহযোগিতা করা উচিত।
শুক্রবার রাতে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালের কর্মীকে করোনার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে দত্তাবাদের বাসিন্দা ওই যুবকের পরিবারের ৪ জনকে। ঘিরে দেওয়া হয়েছে ওই যুবকের বাড়ির চারপাশ।