দাদু-ঠাকুমার সঙ্গ কেন জরুরি বাচ্চার জন্য?
ছোটবেলায় সকালে দাদুর হাত ধরে স্কুল যাওয়া এবং রাতে ঠাকুমার পাশে শুয়ে গল্প না শুনলে দিনই সম্পূর্ণ হত না অনেকের। কিন্তু এখনকার ছোটরা সবাই অতটা ভাগ্যবান নয়। বেশীরভাগেরই দাদু-ঠাকুমার সঙ্গ পাওয়ার সৌভাগ্য হয় না। বিজ্ঞান কিন্তু বলছে একটা বাচ্চার সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শুধু বাবা-মা নয়, দাদু-ঠাকুমার সাহচর্যও সমান জরুরি।
দাদু-ঠাকুমা বাড়িতে থাকা মানে শুধু যে আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে বাচ্চার দায়িত্ব তাঁদের হাতে ছাড়তে পারেন, তাই নয়। তাঁরা সবরকম ভাবে আপনার বাচ্চার খেয়াল রাখেন, যত্ন করেন। দাদু-ঠাকুমার কাছ থেকে একটা ছোট ছেলে বা মেয়ে তার পারিবারিক ইতিহাস জানতে পারে। যা বড় হয়ে তাদের মানসিকতা গড়ে তোলার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের পারিবারিক ইতিহাস তাঁকে নিজেকে চিনতে শেখাবে, নিজের শিকড় খুঁজতে শেখাবে।
ন্যয়-নীতি, সামাজিক মূল্যবোধ এবং আবেগের প্রথম পাঠ বাচ্চারা দাদু-ঠাকুমার কাছ থেকেই পায়। বাবা-মা যখন হাজার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন দাদু-ঠাকুমাই নাতি-নাতনির কাছে বন্ধুর মতো মিশে তাদের মনের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে সময় কাটালে বাচ্চারা বয়স্কদের সম্মান করতে শিখবে, তাঁদের খেয়াল রাখতে শিখবে।
নাতি-নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারলেও দাদু-ঠাকুমাও বয়সজনিত অবসাদের গ্রাসে পড়বেন না। একাকীত্ব থেকে এই অবসাদের জন্ম হয়। নাতি-নাতনির সঙ্গ তাঁদের একা বোধ করতে দেবে না।