রক্তপাতই শেষ কথা সতীত্বের?
লকডাউনে সকলেই গৃহবন্দী। হঠাৎ করে মানুষের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের যেমন চাহিদা বেড়েছে তেমনই বেড়েছে গর্ভনিরোধক পিল ও কন্ডোমের চাহিদাও। সেক্স নিয়ে আমাদের মধ্যে নানারকম মিথ প্রচলিত আছে। এমনকী কিছু শব্দ এবং শারীরিক কিছু প্রক্রিয়ার ভুল ব্যখ্যাও করা হয়।
ভার্জিনিটি, হাইমেন বা সতীচ্ছেদ এসব আমরা জীববিজ্ঞানে বিষয় হিসেবে পড়েছি। অনেকেই শুনে এসেছেন প্রথমবার যৌনমিলনের পর প্রচন্ড ব্যথা এবং রক্তপাত হয়। এর কারণ অনভ্যস্ত পেশীতে হঠাৎ টান পড়ায় তা প্রসারিত হয় এবং ভ্যাজাইনার সম্মুখে যে সতীচ্ছেদ থাকে তা ছিঁড়ে যায়। ফলে রক্তপাত হয়। এছাড়াও ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে হাইমেন ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। দৌড়, ঝাঁপ বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কোনও কাজে সেটি এমনিই ছিঁড়ে যেতে পারে।
প্রথমবার যৌনমিলনের পর এই রক্তপাতের কারণ হল, ভ্যাজাইনাতে যথেষ্ট পরিমাণ লুব্রিকেন্ট না থাকা বা জোর করে ভ্যাজাইনার শুষ্ক দেওয়ালে পেনেট্রেশান হলে। ভ্যাজাইনা বিভিন্ন কারণে শুষ্ক হতে পারে। যথেষ্ট পরিমাণ ফোরপ্লে না হলে বা মেয়েটি যদি মানসিক ভাবে প্রস্তুত না থাকে। ফলে এই রক্তপাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হাইমেন ছিঁড়লে কখনই অতিরিক্ত রক্তপাত হয় না। তা বড়জোর কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
তবে প্রথমবার যৌন মিলনের পর যেভাবে ব্যথা এবং রক্তপাত কমাবেনঃ-
১. কোনও ভাবেই তাড়াহুড়ো করবেন না। ফোরপ্লেতে অনেক বেশী জোর দিতে হবে।
২.ধীরে ধীরে পেনেট্রেশন শুরু করা উচিত। উল্টোদিকে যিনি আছেন তিনি যদি কম্ফোর্ট অনুভব না করেন তাহলে কোনওভাবেই জোরে করা উচিত নয়।
৩. অনেক মেয়েই ফিঙ্গারিং করেন। কিন্তু আদপেও সেটি ভালো অভ্যেস নয়। যৌনমিলনে ব্যথা কম হবে এই ধারণা থেকেই অনেকে এই কাজ করেন।
ভারতীয় সাহিত্য থেকে সিনেমা সর্বত্রই প্রথমবার যৌনমিলনের পর যে ব্যথা এবং রক্তপাত হয় তাকে খুবই স্বাভাবিক বলে ধরে নেন এবং মেয়েদের জোর করে মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তুমি সতী হলে বিছানার চাদরে রক্তের দাগ আবশ্যিক।
কিন্তু মনের মধ্যে গেঁথে নিন, সতীত্বের প্রমাণ কখনই হাইমেন নয়। প্রথমবারে অতিরিক্ত রক্তপাতও স্বাভাবিক নয়। খুব জোর জবরদস্তি করে সেক্স করলেই তবে ভ্যাজাইনার দেওয়ালে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সচেতন এবং একটু পড়াশুনো করে সেক্স করলে প্রথমবার পেনেট্রেশনের পর ব্যথা এবং রক্তপাত একেবারেই কমিয়ে আনা সম্ভব।