লকডাউনে সবাই যে সব সময় সব ধরনের খাবার পাচ্ছেন তা তো নয়। মোটামুটি অনেকেই হয়তো বাড়িতে ছাতু স্টক করেছেন কারণ ছাতু খুবই পুষ্টিকর, সহজলভ্য এবং দামও কম। এই দিয়েই যাতে সকালে একটু স্পেশাল ব্রেকফাস্ট করে খাওয়াতে পারেন বাড়ির সবাইকে, তার জন্য রইল ছাতুর রেসিপি।
ছাতুর কচুরি
ছাতুর কচুরি
উপকরণ:
কচুরির জন্য লাগবে
ময়দা– ১ কাপ
আটা– ১ কাপ
ঘি– ৪ টেবিল চামচ
কালো জিরে– ১ চা-চামচ
নুন– ১/২ চা-চামচ
প্রয়োজনমতো জল
হিং– ১ চিমটি
পুরের জন্য লাগবে
ছাতু– ২৫০ গ্রাম
নুন– ১ চা-চামচ
চিনি– ১ চা-চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি– ২ চা-চামচ
ভাজা জিরে গুঁড়ো– ২ চা-চামচ
শুকনো খোলায় ভাজা শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো– ২ চা-চামচ
লেবুর রস– ১ টেবিল চামচ
জোয়ান– ১ চা-চামচ
যে কোনও তেল-আচারের মশলা– ২ চা-চামচ
ভাজবার জন্য তেল
প্রণালী:
কচুরির ময়দা ভাল করে মেখে নিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
পুরের সব উপকরণ দিয়ে ছাতু ভাল করে মেখে নিন। ২-৩ টেবিলচামচ মতো জল দিয়ে একটা মণ্ড তৈরি করুন।
মাখা ময়দা আবার ভাল করে ঠেসে নিয়ে ছোট ছোট লেচি কাটুন। প্রতিটা লেচির মধ্যে ছাতুর পুর ভরে দিয়ে বেলে নিন কচুরির মতো।
কড়াইতে তেল গরম করুন ও একটা করে কচুরি ভাল করে ভেজে তুলে নিন।
পুর ভালভাবে দেবেন নয়তো ছাতুর স্বাদ পাওয়া যাবে না।
এই কচুরি খেতে দারুণ লাগে লঙ্কার আচার ও শুকনো শুকনো আলুর তরকারি দিয়ে।
ছাতুর শরবৎ
উপকরণ:
ছোলার ছাতু– ১/২ কাপ
ঠান্ডা জল– ২ গ্রাম
বিটনুন– ১/২ চা-চামচ
গুঁড়ো চিনি– ২ চা-চামচ
ভাজা জিরের গুঁড়ো– ২ চা-চামচ
পুদিনা কুচি– ২ টেবিলচামচ
লেবুর রস– ১টা লেবু
বীজ বার করে নিয়ে কুচোনো কাঁচালঙ্কা– ২ চা-চামচ
প্রণালী:
প্রথমে ছাতু আর জল ভাল করে ডাল ঘুটনি দিয়ে ঘেঁটে নিন।
তার পর একে একে সব উপকরণ দিন ও ভালভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে নুন বা চিনির মাত্রা বাড়াতে পারেন নিজস্ব স্বাদ অনুযায়ী।
ভালভাবে সব মিশে গেলে বরফকুচি দিয়ে লম্বা গ্লাসে সার্ভ করুন।
এই শরবত যেমন উপকারী তেমনই খেতেও ভাল। গরমকালে ছাতুর শরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।