কাল পৌঁছচ্ছেন রাজ্যের শ্রমিকরা
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গমুখী প্রথম দু’টি ট্রেন আজ, সোমবার রাজস্থানের অজমীড় এবং কেরালার তিরুবনন্তপুরম থেকে রওনা দিচ্ছে। ২,৫০০-এরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, ছাত্র ও রোগীকে নিয়ে এই দু’টি ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ মঙ্গলবার সকালে রাজ্যে পৌঁছনোর কথা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, প্রোটোকল অনুযায়ী সবাইকে স্ক্রিনিং করা হবে।
রাজ্যের তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের তরফ থেকে রবিবার আর একটি টুইটে জানানো হয়েছে, এই ট্রেন যাতে সকাল সকাল রাজ্যে পৌঁছে যায়, সে জন্য রাজস্থান ও কেরালা সরকারকে অনুরোধ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কারণ, সকালে ট্রেন পৌঁছলে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁদের গন্তব্যের দিকে যেতে দেওয়া সহজ হবে। রাজ্যে এই দুই ট্রেনের অন্তিম গন্তব্য এখনও স্পষ্ট না-হলেও সেখানে পৌঁছনোর আগে রাজ্যের মধ্যে অন্তত দু’-একটি জায়গায় ট্রেন দুটি দাঁড়াতে পারে।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকেও কেন্দ্র ট্রেনের ভাড়া নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি-সহ একাধিক বিরোধী দল রেল দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিখরচায় নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছে তারা।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্ন, লকডাউনে যখন ভিন রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ চলে গিয়েছে, যখন তাঁরা আগের মজুরি পাননি, যখন অনাহারে বা অর্ধভুক্ত অবস্থায় দেড় মাস তাঁরা কাটাতে বাধ্য হয়েছেন, তখন তাঁরা কী ভাবে টিকিটের দাম দেবেন?