পড়ে থেকে নষ্ট যন্ত্রাংশ, বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে
লকডাউন উঠে গেলেও পর্যাপ্ত বাসের অভাব পরের ছ’মাস থাকবে বলে আশঙ্কা খোদ বাসমালিকদের। দীর্ঘ দিন না চলার ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ যন্ত্রাংশই নষ্ট হয়েছে। মেরামত না করলে বাস চালানো সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। ফলে বেশ কয়েক মাস ধরে পথে বেরিয়ে বাসের অভাবে ভোগান্তি প্রায় অবধারিত।
এই মুহূর্তে ডিপোয় দাঁড়িয়ে তালাবন্ধ বাসগুলো। সে-সব কত তাড়াতাড়ি ফের রাস্তায় নামতে পারবে, সেটা নির্ভর করছে শম্ভু পাখিরাদের হাতযশের উপরে। কসবার স্ট্যান্ডে নিয়মিত ইঞ্জিন মেরামত করেন তিনি। বসে যাওয়া ইঞ্জিনকে ফের কর্মমুখী করার গুরুদায়িত্ব পড়বে শম্ভুর মতো মিস্ত্রিদের উপরেই। একই সঙ্গে বাসের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে টায়ার-টিউব, অন্য নানা যন্ত্রাংশ, মোবিল পর্যন্ত ঢালাও বদলে না ফেললে চাকা গড়ানো প্রায় অসম্ভব। তাই লকডাউন উঠলেই সামনে বড় খরচ দেখছেন বাসমালিকরা।
গোটা রাজ্যে থমকে রয়েছে প্রায় ২৯ হাজার বাস-মিনিবাসের চাকা। বাসমালিক থেকে শুরু করে চালক ও মিস্ত্রিরা বলছেন, ইঞ্জিন, ইলেকট্রিক, টায়ার-টিউব এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হতে বসেছে। রাতারাতি সারানো যাবে না। মিস্ত্রির সংখ্যাও সীমিত। কাজেই সমস্যা হবেই।