বাংলায় ফিরলেন ১২০০ পরিযায়ী শ্রমিক
সোমবার আজমির থেকে রওনা হওয়া শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে বাংলায় ফিরলেন ১১৮৮ জন শ্রমিক। ডানকুনিতে ট্রেন পৌঁছতেই ফুল ছুড়ে শুভেচ্ছে জানানো হল তাঁদের।
মঙ্গলবার তাঁদের পৌঁছনোর ঢের আগে থেকেই স্টেশন চত্বর চলে গিয়েছিল হুগলি জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। লকডাউনে সুদূর আজমিরে প্রায় দেড় মাস আটকে থাকার পর বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক আর তীর্থযাত্রীরা ফিরছেন।
অভ্যর্থনা জানাতে এবং বাড়ি ফেরার পথ সুগম করতে সকাল-সকাল স্টেশনে পৌঁছেছিলেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর ও গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত বসু। আর ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী–মলয় ঘটক, তপন দাশগুপ্ত ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন বিধায়ক স্বাতী খন্দকর-সহ অনেকে।
রেলওয়ে ওভারব্রিজ দিয়ে ওঠার মুখে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে তৈরি করা হয়েছিল তিনটি অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষাকেন্দ্র। হাজির ছিলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্টেশনের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের ঘরে ফেরাতে জেলাভিত্তিক বাস ও ছোট গাড়ি লাইন দিয়ে রাখা হয়েছিল টিকিট কাউন্টার ছাড়িয়ে লোকো কারখানার শেডের নীচ পর্যন্ত।
মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা এবং ঝাড়খণ্ডের পরিযায়ী শ্রমিক ও তীর্থযাত্রীরা এসেছেন এই ট্রেনে। বাসের ব্যবস্থা করে পরিবহণ নিগম। দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে যাত্রীদের দাঁড় করানো হয় স্বাস্থ্য শিবিরে। লাগেজ স্যানিটাইজ করা হয়। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট দেওয়া হয় যাত্রীদের। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হয় ফাইলে।
বাড়িতে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। অসুস্থ বোধ করলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের টিফিন ও পানীয় জলেরও ব্যবস্থা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শ্রমিকরা।