লকডাউনে দেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই কর্মহীন
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে সেন্টার ফর মনিটরিং অফ ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই) জানিয়েছিল, লকডাউনের জেরে এপ্রিল মাসে কাজ হারানোর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ। যে কারণে ৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার রেকর্ড ২৭.১ শতাংশে পৌঁছেছে।
দিনমজুর এবং ছোট দোকানে কাজ করতেন এমন ৯.১৩ কোটি ব্যক্তির এখন কোনও কর্মসংস্থান নেই। কলকারখানা-ব্যবসা বন্ধ হয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন ১.৮২ কোটি উদ্যোগপতি। কাজ হারিয়েছেন আরও ১.৭৮ কোটি চাকুরিজীবী। গোটা দেশের যখন এই চিত্র, রাজ্যেও তার কোনও ব্যতিক্রম নেই। বরং, এ রাজ্যে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের আধিক্যের কারণে ৩৫ শতাংশ কর্মী কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা।
শর্তসাপেক্ষে কিছু কলকারখানা-ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করায় সরকার অনুমতি দিলেও অর্থনীতিকে বেঁচে থাকার অক্সিজেন জোগানোর পক্ষে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রেই শুধু ২৫-৩০ শতাংশ চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে ৩৫ শতাংশ।
ভারতে শিল্পোদ্যোগীর সংখ্যা ২৪ কোটি। প্রায় একই সংখ্যা চাকুরিজীবী মানুষেরও। এই ২৪ কোটি চাকরিজীবীদের মধ্যে প্রায় ৬ কোটি বড়, মাঝারি ও ছোট শিল্প সংস্থা মিলিয়ে সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫-৩০ শতাংশর চাকরি চলে যাওয়ার অর্থ করোনা-লকডাউনে দেড় থেকে এক কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের রোজগারের সংস্থান একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।