মেয়র ও ১২ মেয়র পারিষদকে নিয়ে প্রশাসক বোর্ড
কলকাতা পুরসভার পরবর্তী প্রশাসক হতে চলেছেন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অর্থাৎ প্রশাসনিক বোর্ড গঠিত হতে চলেছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সবুজ সঙ্কেত পৌঁছেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে। ওই দপ্তরের প্রধান সচিব প্রশাসক বসানো ও বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তৈরীর আদেশনামা জারি করবেন।
ফিরহাদ ছাড়াও নতুন বোর্ডে বর্তমান পুরবোর্ডের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং বাকি ১২ জন মেয়র পারিষদ থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৮ই মে কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তার আগেই এগজিকিউটিভ অর্ডার বের করলো রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের অন্য পুরসভার মতো কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর আইন নেই। সেখানে প্রশাসক বসাতে গেলে অর্ডিন্যান্স জারি করা প্রয়োজন। কিন্তু, বর্তমান আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অর্ডার বের করে প্রশাসক নিয়োগ করার পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই অর্ডার বের করতে গেলে রাজ্যপালের সইয়েরও দরকার নেই বলে নবান্নের এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কবে ভোট হবে, সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নন। তাই বর্তমান পুরবোর্ডের হাতেই পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে নবান্ন। কারণ কলকাতায় এখনও করোনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ৩১৮টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। এইসব এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কথা ভেবেই ফিরহাদ হাকিমকে মাথায় রেখে প্রশাসনিক বোর্ড গঠিত হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন বোর্ডের হাতেই আগামী দিনগুলিতে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার মতোই আরও ৯০টি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। মে-জুন মাসে সেই কাজ হবে। সেই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ দমদম, বরানগর, দমদম, মহেশতলা, কামারহাটি, মধ্যমগ্রাম, খড়দহ পুরসভা প্রভৃতি। ঐ পুরসভাগুলির মেয়াদ ১৪ মে’র পর থেকে শেষ হতে থাকবে। রাজ্যে ইতিমধ্যে হাওড়া সহ ১৭টি পুরসভায় প্রশাসক বসেছে।