রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ক্যাম্পাস করোনামুক্ত রাখতে উপাচার্যদের অভিনব প্রস্তাব

May 7, 2020 | 2 min read

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা দিলে পাওয়া যাবে ১০ নম্বর। পরীক্ষার সময় খাতা, প্রশ্নপত্রের সঙ্গেই বিলি করা যেতে পারে মাস্ক। বড় প্রশ্নের উত্তর লিখতে অনেক বেশি সময় লাগবে, তাই পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনতে করা হোক এমসিকিউ প্রশ্ন। আবার যে-সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক একটি ক্লাসে অনেক ছাত্রছাত্রী, স্কুলের মতো তাদের সেকশন ভাগ করে দেওয়া হোক। সকাল, বিকেল, সন্ধে তিন শিফটে হোক ক্লাস, পরীক্ষা।

করোনা পরবর্তী পর্যায়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুললে এই ভাবেই প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করতে চাইছেন অনেক উপাচার্য। এখন সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেলে এই প্রস্তাব কার্যকর করতে চান তাঁরা।

এ ছাড়াও এ বছর অন্তত অধীনস্ত কলেজগুলির পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কলেজেই হোক বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের যাতায়াত কম করতে হয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষাকে বড়জোর ২০ বা ৩০ নম্বরে কমিয়ে আনতে চায় এই বিশ্ববিদ্যালয়। যাতে ক্যাম্পাসে বেশিক্ষণ পড়ুয়াদের থাকতে না হয়।

ক্যাম্পাস করোনামুক্ত রাখতে উপাচার্যদের অভিনব প্রস্তাব

করোনা পরবর্তী সময়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুললে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ও অন্যান্য বিষয়ে ইউজিসির গাইডলাইন নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রস্তাব চেয়েছিল। সেখানেই এমন সব অভিনব প্রস্তাব জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা, বাঁকুড়া, কাজি নজরুল ও রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারকে তাদের মতামত জানিয়েছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাসের মতো এক একটি ক্লাসে শ’তিনেক করে পড়ুয়া আছেন। ফলে সেখানেও সেকশন ভাগ করা, পড়ুয়াদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে নানা শিফটে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে তৈরি খাবারের প্যাকেট রাখা, ক্যান্টিনে ও লাইব্রেরিতে অবাধ প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করার মতো বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এমনকী স্বাস্থ্যবিধি ও করোনা সাবধানতা অবলম্বন করা হলে পড়ুয়াদের আলাদা করে কোনও নম্বর দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #calcutta university, #college street

আরো দেখুন