এবার বিহারের গ্রাম থেকেও দেখা মিলল এভারেস্টর
লকডাউনের জেরে কমছে দূষণ। ‘শ্বাস’ নিতে পারছে প্রকৃতি। যার জেরে দৃশ্যমানতা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। ফলে কয়েকশো কিলোমিটার দূরের হিমালয় পর্বতও যেন কাছে চলে এসেছে। এবার বিহারের এক অখ্যাত গ্রাম থেকে দেখা গেল বরফে ঢাকা মাউন্ট এভারেস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
বিহারের সীতামারি জেলার সিংহবাহিনী গ্রামের ঘটনা। বাড়ির ছাদে উঠলেই গ্রামের মানুষ হিমালয় দেখতে পাচ্ছেন। এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। যানবাহন, কলকারখানা সবই বন্ধ। বাতাসে দূষণের পরিমাণ কয়েকগুণ কমে গিয়েছে। ফলে সর্বোচ্চ শৃঙ্গকে ঘরে বসেই দেখতে পাচ্ছেন সিংহবাহিনীর মানুষ। মুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিতু জয়সওয়াল এভারেস্টের একটি ছবি তুলে ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন। কী করে এত দূরের গ্রাম থেকে হিমালয় দেখা যাচ্ছে? জবাবে জয়সওয়াল বলেছেন, এই গ্রাম থেকে নেপালের মাউন্ট এভারেস্টের দুরত্ব প্রায় ২০৫ কিমি। আটের দশকে ওই গ্রাম থেকে হিমালয় পর্বত দেখা যেত। খুব বৃষ্টি হলে নেপালের পাহাড় দেখা যেত। আজ আমরা বাড়ির ছাদ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট দেখতে পেলাম।
তবে ওটা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কি না, এ নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন। সাধারণত ছবিতে যে হিমালয় দেখতে পাই, এটি সেরকম লাগছে না বলে ওই মহিলাকে প্রশ্ন করেন এক ব্যক্তি। তাঁকে জবাবও দিয়েছেন রিতু। তিনি বলেন, ‘দূর থেকে হিমালয় দেখতে পেলে সাধারণত সবথেকে উঁচু শৃঙ্গটি দেখতে পাব। এছাড়া আমাদের বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে এভারেস্ট অবস্থিত। ১৯৮০ সাল নাগাদ আমার স্বামী ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ি থেকে হিমালয় দেখেছেন। সে কারণে আমি নিশ্চিত যে, ওটা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে হিমালয় পর্বত দেখা গিয়েছিল। আবার উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুর থেকে দেখা গিয়েছিল গাড়োয়াল হিমালয়ের গঙ্গোত্রী শৃঙ্গ। কিন্তু বিহারের গ্রাম থেকে এভারেস্ট দর্শন সাম্প্রতিক সমস্ত ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।