রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অ্যাপে দ্রুত করোনার রিপোর্ট

May 8, 2020 | 2 min read

করোনার রিপোর্ট এবার “রিয়্যাল টাইম” মিলতে চলেছে। আজ, শুক্রবার থেকে করোনার পরীক্ষার জন্য সোয়াব সংগ্রহের পর নথিভুক্তিকরণ হবে অ্যাপের মাধ্যমে। পরীক্ষা হয়ে গেলে, সংশ্লিষ্ট ল্যাব থেকে হাসপাতাল বা ওয়ার্ড পর্যন্ত রিপোর্ট আসার জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না চিকিৎসককে। তিনি আাপেই দেখে নিতে পারবেন কোভিড রিপোর্ট। ফলে করোনা সন্দেহে যে ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ না নেগেটিভ, তা জানতে আর দেরি হবে না। এতে করোনা পজিটিভের দ্রুত চিকিৎসা যেমন সম্ভব, তেমনই থেকে সরাতেও দেরি হবে না বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

এ দিন রাজ্যে ২৬১১ জনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৯২ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিনে। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৩১ জন। ফলে বর্তমানে রাজ্যে ১১০১ জন করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫৪৮ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে রাজ্যে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৯। কো-মর্বিডিটির জন্য রাজ্যে আরও ৭২ জন করোনা পজিটিভের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১৫১।

কী ভাবে কাজ করবে নতুন অ্যাপ?

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, করোনা সন্দেহে যে কোনও ব্যক্তির সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হলে তাঁর যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত হবে কেন্দ্রের তৈরি এই  অ্যাপেই। ল্যাবে পরীক্ষা শেষ হলে আপেই তৎক্ষণাৎ দেখতে পাওয়া যাবে রিপোর্ট। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানান, “অনেক সময়েই রিপোর্ট হাতে পেতে ১২-২৪ ঘণ্টা, কখনও বা ৪৮ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সময় কমিয়ে যাতে দ্রুত আক্রান্তের চিকিৎসা শুরু করা যায়, আর নন-কোভিভ ব্যক্তিদের দ্রুত বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা ।”

অ্যাপে দ্রুত করোনার রিপোর্ট

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এই অ্যাপ ব্যবস্থা পোক্ত করতে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং করেছেন স্বাস্থ্যকতারা। কলকাতার কন্টেনমেন্ট বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করেন দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের প্রিভেনটিভ সোশ্যাল মেডিসিন বিভাগের দুই কর্তা এ দিন কলকাতা পুরসভায় গিয়ে দেখা করেন বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। কন্টেনমেন্ট জোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়। রাজ্যকে দিশা দেখানোর জন্য কিছু ফিল্ড-সার্ভের ফর্মও তাঁরা তুলে দেন। যদিও প্রতিনিধি দলের তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়া টিকাকরণও ধীরে ধীরে চালু করতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দপ্তর। রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে কী ভাবে টিকাকরণ শুরু করা যায়, তা নিয়ে বুধবার একটি আদেশনামা জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন। রেড জোনকে মূলত দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে কন্টেনমেন্ট এবং বাফার জোন। আদেশনামায় জানানো হয়েছে, জন্মের  সময় প্রয়োজনীয় টিকা এই দুই জোনেই চালু থাকবে। তবে পরবর্তী সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে অথবা আউটরিচ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোনও টিকাকরণ করা যাবে না। এই দুই জায়গাতেই হলে তাঁদের আর ফেরানো যাবে না বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক নির্দেশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি, গ্রিন জোনেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কোনও একটি নিদিষ্ট সময়ে টিকাকরণ কেন্দ্রে পাঁচ জনের বেশি থাকতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার আরও চার কলকাতা পুলিশ কর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সেন্ট্রাল, ইস্টার্ন সাবার্বান, সাউথ ডিভিশনের একজন করে এসআই এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের

এক পুলিশকর্মীর করোনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের ১২জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হলেন। এ দিন কেপিসি হাসপাতালের তিন প্রসূতির করোনা ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের প্রত্যেকেই দক্ষিণ কলকাতার এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিন প্রসূতির করোনা পজিটিভ আসায় ৪০ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Corona App, #West Bengal, #health department

আরো দেখুন