দুটি সরকারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল পিএসসি
করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চাকরির পরীক্ষার ফল প্রকাশে উদ্যোগী হল রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। লকডাউনের আগেই শুরু হয়েছিল সরকারি পলিটেকনিকে অঙ্কে লেকচারার নিয়োগের প্রক্রিয়া। আর সেই পরীক্ষার পরেই এদিন এই সংক্রান্ত নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল কমিশন। এর পাশাপাশি চলছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট হর্টিকালচারিস্ট নিয়োগের কাজও। ওই পদের জন্য যে প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাবেন, তাঁদের নামের তালিকাও প্রকাশিত করল কমিশন।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে অফিসে ন্যূনতম কর্মী এনে ওই কাজ তাঁরা সুসম্পন্ন করেছেন। তবে এরপরও তাঁদের কাজ থেমে নেই। নিয়োগ-প্রক্রিয়া যাতে অব্যহত থাকে, সেই কাজের উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে কমিশন। কিছু কিছু পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আরও পরীক্ষার ফল প্রকাশ বাকি রয়েছে। যথাসম্ভব দ্রুত তার সাথে সেই ফল প্রকাশের চেষ্টা চলছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের আওতায় বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিকে অঙ্কের লেকচারার পদে ৩৯ জন সফল প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের আওতায় ডিরেক্টরেট অফ সিঙ্কোনা অ্যান্ড আদার মেডিসিনাল প্লান্টস বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট হর্টিকালচারিস্ট পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ১২ জনকে ইন্টারভিউয়েও ডেকেছে কমিশন। সেই তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে।
দিন কয়েকের মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অফিসারের ১১৮টি পদে কয়েকশো প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকবে কমিশন। সরকারি পলিটেকনিকগুলিতে ফিজিক্সের লেকচারার পদে নিয়োগেও ২০০-র বেশি প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে।
সোমবারই কমিশনের দপ্তরে বসেছিল ‘ফুল কমিশনের’ বৈঠক। তাতে চলতি পরিস্থিতিতে কী ভাবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার রুটিন কতটা বজায় রাখা যায়, তা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয়। ঠিক হয় লকডাউন উঠলে বিভিন্ন লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। কারণ এই সব ক্ষেত্রে বড় সংখ্যক প্রার্থী থাকায় পিএসসির দপ্তর ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে সেই পরীক্ষাগুলি নিতে হয়।
পিএসসি সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই ধরনের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। এর জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হতে পারে কমিশনকে। কারণ, একই বেঞ্চে আগে যদি দু’জন পরীক্ষার্থী বসতেন, এখন বসাতে হবে এক জনকে। সেই বিষয়টি নিয়েই চিন্তিত কমিশন। তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, সমস্যা যাই থাক না কেন, দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করে, সমস্ত রকম নিয়ম-নীতি মেনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।