আশাকর্মীদের আশা জাগাতে ইনসেন্টিভ
গ্রামীণ এলাকায় আশাকর্মীদের ভালো কাজের নিরিখে পারফরমেন্স বেসড ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই বাবদ বরাদ্দ অর্থের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন।
রাজ্যের ২৩টি জেলার ৩৩২টি ব্লকের আশাকর্মীদের জন্য চলতি বছর লকডাউন চলাকালীন এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই ৩ মাসের জন্য ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়েই আশাকর্মীদের পঞ্চায়েত স্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এমনকি কাদের জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ আছে তা খতিয়ে দেখে তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে। এমনকি যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁরা বাড়িতে হোম কোয়ারান্টিইনে ঠিকমতো আছেন কি না সেটাও দেখতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে করোনা মোকাবিলায় তৃণমূলস্তরে কাজ করছেন আশাকর্মীরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন নির্দেশিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আইসিডিএস কেন্দ্রেও তাঁরা যাচ্ছেন। তবে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং জেলাকে দার্জিলিং জেলার মধ্যে ধরা হলেও আশাকর্মীদের পারফরমেন্স ভালো নয় বলে সমস্ত ব্লকের কর্মীদের ইনসেন্টিভ দেওয়া হচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার জেলার ৬টি ব্লকের সবকটিতে ৯৯৬ জন আশাকর্মীর জন্য ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা, কোচবিহারের ১২টি ব্লকের ২ হাজার ২২৯ জন আশাকর্মীর জন্য ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের ৮টি ব্লকের ১ হাজার ৪৪১ জন আশাকর্মীর জন্য ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা, জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি ব্লকের ১ হাজার ৩৬১ জন কর্মীর জন্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা, মালদার ১৫টি ব্লকের ২ হাজার ৮১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার অনুমোদন হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের ১০টি ব্লকের মধ্যে ৯টিতে ১ হাজার ৮৫৮ জন আশাকর্মীর জন্য ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমার ৪টি ব্লকের ৪৩২ জন আশাকর্মীর জন্য ৪৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় আশাকর্মীদের কাজের তুলনা হয় না। আমি নিজে দায়িত্ব পেয়ে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলা পরিদর্শন করেছি। চিকিৎসক, অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা যেমন হাসপাতাল, আইসোলেশন, সরকারি হাসপাতাল, কোভিড ও সারি হাসপাতালে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে কাজ করছেন। কিন্তু আশাকর্মীরা পঞ্চায়েতস্তরে গিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের অবদান আরও ঝুঁকিপ্রবণ। তাঁদের কাজের মূল্যায়ন করে এই পারফরমেন্স ইনসেন্টিভের প্রশাসনিক অনুমোদন করা হয়েছে সরকারের তরফে। এতে আশাকর্মীরা কাজে আরও উজ্জীবিত হবেন।