উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনেও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য

May 9, 2020 | 2 min read

লকডাউন তো কি! নো পরোয়া। ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের নিয়ে যখন জেলা প্রশাসন ব্যস্ত, যখন লকডাউন নিয়ে ব্যস্ত পুলিশ, ঠিক তখনই মালদা শহরে মহানন্দা নদীর বুক থেকে বালি তুলে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনা নজরে পড়েনি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। নজরে পড়েনি পুলিশ-প্রশাসনেরও। তবে সাধারণ সময়ে চাইতে কিছুটা হলেও মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমেছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি।

ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গয়েশপুর। এই এলাকার মহানন্দা নদীবক্ষ থেকে মাটি কাটার কাজ চলছেই লকডাউনের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটি কাটার পিছনে রয়েছে বেশকিছু প্রভাবশালী মানুষ। তাই প্রতিবাদ করার সাহস পান না কেউই। স্থানীয়দের আরও দাবি, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে বালি পাচার রোখা সম্ভব। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্ক তৈরি হওয়ার পর পরিবেশবিদরা একটা কথাই বলে চলেছেন প্রকৃতি নিজেকে আবার সাজিয়ে নিচ্ছে। সত্যিই আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পরিবেশবিদদের সেই দাবির বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছি। পুরীতে সমুদ্রের ধারে ডিম পেড়ে যাচ্ছে কচ্ছপের দল। রাজস্থানের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণ। মুম্বইয়ে রাস্তায় দেখা মিলছে লেপার্ডের। মালদাও বাদ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি মালদায় দেখা মিলেছে নীল গাইয়ে। শুধু তাই নয়, সারা বছর আমরা যে পাখিগুলি বাড়ির আনাচে-কানাচে দেখতে পাই, হঠাৎই সেই পাখির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। অথচ কিছু বালি মাফিয়া পরিবেশ নষ্ট করত চাইছে। অবিলম্বে নদীবক্ষ থেকে বালি কাটা বন্ধ হোক।

এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি অভিযোগ করেন, লকডাউনের আগে আমি একাধিকবার এই নিয়ে পুরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। তবুও বন্ধ হচ্ছে না নদীবক্ষ থেকে বালি তোলা। লকডাউনের মধ্যেও যে ওই কাজ চলছে, তা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি ফের পুর প্রশাসনকে জানানো ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। তবুও আমি চেষ্টা করব যাতে নদীবক্ষ থেকে বালি কাটা বন্ধ হয়। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার চৈতালি ঘোষ সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। যে করেই হোক বালি কাটা বন্ধ করতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lockdown, #malda, #Sand Mafia

আরো দেখুন