রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ধান কেনায় সাড়া লকডাউনেও

May 9, 2020 | 2 min read

আগামী দিনে রেশনে বেশি পরিমাণ চালের চাহিদা মেটাতে সরকারি উদ্যোগে ধান সংগ্রহের কাজ মে মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মে মাসের প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টন ধান সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। রাজ্যে উৎপাদনের নিরিখে প্রথম সারিতে না থাকা কয়েকটি জেলা থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণ ধান কেনা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৮৮৮৯ টন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪১১৩ টন। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ৪৪১৭ টন ধান কেনা হয়েছে। কিন্তু যে জেলায় সব থেকে বেশি ধান হয়, সেই পূর্ব বর্ধমান থেকে কেনা গিয়েছে  মাত্র ২৩১২ টন।

রাজ্যের রেশন দোকান ছাড়াও স্কুলের মিড ডে মিল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও রাজ্যে উৎপাদিত চাল সরবরাহ করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদা মেটাতে ২৬-২৭ লক্ষ টন চাল বছরে প্রয়োজন হয় সরকারের। কিন্তু এখন রেশনে অনেক বেশি পরিমাণ চাল দিতে হচ্ছে। তাই বোরো ধান ওঠা শুরু হতেই মে মাসের গোড়াতেই রাজ্য সরকারকে জোরকদমে ধান সংগ্রহে নামতে হয়েছে। 

আগামী অক্টোবর পর্যন্ত চলতি খরিফ মরশুম চললেও শেষের দিকে ধান সংগ্রহ খুব বেশি হয় না। ফের নতুন আমন ধান ওঠার পর ডিসেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ গতি পায়। তবে সরকারি উদ্যোগে যে স্বর্ণ ধান কেনা হয়, সেটা আমন  হিসেবেই বেশি চাষ হয়। শীতের গোড়ায় ওই ধান ওঠে। কিন্তু ওই ধান এখনও অনেক কৃষকের কাছে মজুত  রয়েছে। সেটাই কিনতে সক্রিয় হয়েছে সরকার। খোলাবাজারে এখন স্বর্ণ ধানের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনও তা সরকারি নির্ধারিত কুইন্টাল প্রতি  ১৮১৫ টাকা (সরকারি মান্ডি বা স্থায়ী কেন্দ্রে বিক্রি করলে আরও অতিরিক্ত ২০ টাকা) থেকে কিছুটা কম আছে। তাই এখনও কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে উৎসাহী হবেন বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের আশা। সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান থেকে নথিভুক্ত রাইস মিলগুলি  চাল উৎপাদন করে। মিলগুলি যাতে দ্রুত চাল সরবরাহ করে, তার জন্য খাদ্য দপ্তর সক্রিয় হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের শীর্ষকর্তারা সম্প্রতি বর্ধমান গিয়ে রাইস মিলগুলির মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Lockdown, #farmers

আরো দেখুন