মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লকডাউন বাড়ানোর আবেদন ইমাম সংগঠনের
লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি করল বাংলার মুসলিম সংগঠন। সেই চিঠিতে, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে। শনিবার বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়শনের তরফে এই চিঠি করা হয়েছে। এদিকে আগামী ২৫ মে সোমবার পবিত্র ‘ঈদ বা ঈদ-উল-ফিৎর’। মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে দিন পনেরো আগে থেকেই কেনাকাটা, নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। জমায়েত হয় হাজার হাজার মানুষের। কিন্তু, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় এবছর তা বন্ধ রাখতে চাইছেন বাংলার মুসলিম সংগঠন গুলির একাংশ।
সেই কারণেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে যে, কেন্দ্র সরকার থেকে আগামী ১৭ মে এবং ২১ মে-র পর থেকে রাজ্য সরকারের তরফে লকডাউন তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু, আপনার কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ কোনও অবস্থাতেই মে মাসের ৩০ তারিখের আগে লকডাউন না তোলার আবেদন জানাচ্ছি। কারণ, আগে মানুষ বাঁচুক, তারপর উৎসব। এমনকি ১৭ মে-র পরে কেন্দ্র সরকার লকডাউন তুলে নিলেও, ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে এরাজ্যে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদি তা না হয়, ঈদের কেনাকাটা, জমায়েত ঘিরে নানারকম বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলেও সংগঠনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে কোনও ভাবেই লকডাউন শিথিল না করার আবেদন জানিয়ে বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই বাড়িতে নমাজ পড়া থেকে শুরু করে সবরকম ধর্মীয় আচার সম্পন্ন করছি। এমনকি রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ নমাজ তারাবিহ বাড়িতে সম্পন্ন করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাই, কয়েক দিনের জন্য ঈদকে সামনে রেখে লকডাউন শিথিল না করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি করার পাশাপাশি এরাজ্যের অন্যান্য মুসলিম সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদনের সমর্থন জানানোর আবেদন জানানো হয়েছে। মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, আমার বিশ্বাস আমাদের অন্যান্য সংগঠনও ঈদের পরে লকডাউন তোলার বিষয়ে সম্মতি জানাবেন।