ফোনের পাসওয়ার্ড কি সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করা উচিত?
অম্নানের সঙ্গে টিনার প্রতিদিন সেই এক বিষয় নিয়েই ঝামেলা। অফিসের প্রয়োজনে অম্লান তার ফোন পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রেখেছে। আর এখানেই টিনার আপত্তি। টিনার কথায়, এখন আর তারা প্রেমিক-প্রেমিকা নয়। বিয়ের আগে এসব করত মানা যেত। কিন্তু এখনও এত লুকোচুরির কি আছে? কেনই বা সে সব কিছু গোপন করে রাখছে?
টিনার দাবী, অম্লান যখন তার ফোন নিয়ে গেম খেলে কিংবা কোনও কিছু চেক করে কই তখন তো সে কিছু বলে না। অম্লান টিনাকে কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারে না যে ফোন সবার ব্য়ক্তিগত বিষয়। টিনা-অম্লানের মতো অনেক যুগলই এই বিষয় নিয়ে অশান্তি করেন।
কি করা উচিত আপনার জেনে নিনঃ
প্রথমেই এই বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার থাকা ভালো যে, সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী হলেও প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটা পরিসর রয়েছে। ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল – এগুলির পাসওয়ার্ড অন্যের সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এমনকী এটিএমের পাসওয়ার্ডও খুব প্রয়োজন ছাড়া সঙ্গীকে বলবেন না। এতে নিজেদের মধ্যেই সম্পর্ক ভালো থাকে। ভবিষ্যতে অশান্তির আশঙ্কা কম থাকে।
এছাড়াও সম্পর্কে বিশ্বাস, ভরসা এবং শ্রদ্ধা বজায় থাকে। একে অপরের প্রতি সন্দেহপ্রবণতা কমবে। নইলে যদি একে অপরের পাসওয়ার্ড জানা থাকে তাহলে মাঝেমধ্যেই মনে হবে ফোন ঘেঁটে দেখি কি করছে, কার সঙ্গে চ্যাট করছে। এমনটাই নিদান দিয়েছেন মনোবিদেরা।
এছাড়াও যে কোনও সম্পর্কেই স্পেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফোন নিয়ে চুলোচুলি করলে তৃতীয় পক্ষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাঁদের মনে হবে নির্ঘাত কোনও লুকোচুরি রয়েছে। সুতরাং নিজেদের সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং একে অপরের প্রতি সম্মান রক্ষার্থেই পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে জানাবেন না।