কাল থেকে চলবে দূরপাল্লার ট্রেন
তৃতীয় পর্বের লকডাউন বহাল থাকার কথা ১৭ মে পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যে আচমকাই রবিবার রাতে দূরপাল্লার যাত্রিবাহী ট্রেন চালু করার কথা ঘোষণা করল রেল৷ তবে আংশিক ভাবে ও পর্যায়ক্রমে৷ রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামিকাল মঙ্গলবার থেকেই শুরু করা হচ্ছে এই যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা, যেখানে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হবে৷
প্রাথমিক ভাবে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে যাতায়াত করবে ওই ট্রেনগুলি। নয়াদিল্লি থেকে হাওড়া, মুম্বই সেন্ট্রাল, চেন্নাই, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, তিরুবনন্তপুরম, মারগাঁও, আহমেদাবাদ ও জম্মু-তাওয়াই পর্যন্ত যাতায়াত করবে এই ট্রেনগুলি৷
করোনার লক্ষণ নেই, শুধুমাত্র এমন ব্যক্তিরাই যাতায়াত করতে পারবেন। টিকিট পাওয়া যাবে আজ সোমবার বিকেল চারটে থেকে, শুধুমাত্র আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে৷ যাঁরা এই ট্রেনগুলিতে যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং ট্রেনে ওঠার আগে থার্মাল চেকিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে৷ এই বিশেষ ট্রেনগুলির সব কোচই হবে বাতানুকূল, যার ভাড়া হবে রাজধানী এক্সপ্রেসের সমতুল৷
সাত সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রেলের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। লকডাউন চলাকালীনই রেলের এই ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত। নিয়ম অনুযায়ী ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, করোনার লক্ষণ থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করানো, বাকিদের হোম কোয়ারান্টিন নিশ্চিত করা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উঠে আসছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন৷ প্রথম, দেশে লকডাউন চলবে ১৭ মে পর্যন্ত৷ এই অবস্থায় যাঁরা টিকিট কাটবেন, তাঁরা কী ভাবে স্টেশনে যাতায়াত করবেন? দ্বিতীয়, বিশেষ ট্রেনগুলিতে মোট কত যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন? তৃতীয়, ট্রেনে কোনও শ্রেণিবিন্যাস থাকবে কি? চতুর্থ, আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সফর নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি তুলেছে৷ প্রশ্ন, এই বিশেষ ট্রেনে ষাটোর্ধ্বরা যাতায়াত করতে পারবেন কি?