পদ্মের ‘অপপ্রচারের’ জবাব দিতে আসরে ঘাসফুল
বিজেপির ‘অপপ্রচার’ রুখতে এ বার সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে প্রচারে নামতে চলেছেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূল অবশ্য ইতিমধ্যেই বিজেপির ‘ভয় পেয়েছে মমতা স্লোগানের’ পালটা ‘ভাট বকছে বিজেপি’ হ্যাশট্যাগ চালু করে দিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার তাঁর দলকে নির্দেশ দেন, লকডাউনে বিজেপির ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হতে হবে নেতা-কর্মীদের। রবিবার সেই পাল্টা প্রচারেরই রূপরেখা গড়ে দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথম দফায় ১৩ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত দৈনিক ৫০ জন বিধায়ক জুম অ্যাপের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরবেন সরকারের সমস্ত ভালো কাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় যতরকম ভাবে সম্ভব মানুষকে জানাতে হবে— রেশন, পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানো এবং করোনা চিকিৎসায় কী কাজ করছে রাজ্য সরকার।
রবিবার দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি এবং যুব সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয়েছে, লকডাউন পর্বে গৃহবন্দি মানুষের মনে কিছু ‘ক্ষোভ’ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শতকরা ৯৯ জন মানুষ অনেক কিছু পেলেও কোথাও যদি এক শতাংশ অপ্রাপ্তি থেকে থাকে, সেটাকেই ‘বড় করে দেখানো হচ্ছে’ বলে দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থাৎ সামান্য ‘অপ্রাপ্তি’ ঢেকে দিচ্ছে সরকারের ভালো কাজগুলিকেও। তাই আত্মতুষ্টিতে না-ভুগে চোখ কান খোলা রেখে মানুষের সামনে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলার করোনা-পরিস্থিতি গুজরাটের মতো রাজ্যের থেকে অনেক ভালো। অথচ, বিজেপি প্রচার চালাচ্ছে অবস্থা খারাপ। বিধায়কদের দায়িত্ব তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বোঝাতে এ রাজ্যে করোনা-মোকাবিলায় সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে।