গঠনমূলক সামাজিকতাকে সামনে নিয়ে আসে এ ছবি
আজকের দিনে কমিউনিটি লিভিংয়ের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য তৈরি হয়েছে এই ছবি। রুদ্রনীল ঘোষের চরিত্র এক প্রতিবন্ধীর।
কী বলছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়? ‘সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে কাজ করার আনন্দই আলাদা। তা ছাড়া গল্পটি খুবই ভালো।’ রুদ্রনীল তাঁর চরিত্র নিয়ে বলছেন, ‘এই ছেলেটি এক সময় কাজ করত। তারপর একটি গাড়ির দুর্ঘটনায় তার বাড়ির লোক প্রাণ হারানোয় সে হারিয়ে ফেলে তার চলচ্ছক্তি। তাকে আগলে রাখে তার পাশের ফ্ল্যাটের দুই বয়স্ক মানুষ — যে চরিত্র দুটিতে অভিনয় করছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। আসলে দুই লেজেন্ডের সঙ্গে কাজ করব বলে এই কাজটা করলাম। যখন নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে ‘মাইকেল’ করেছিলাম, তখনও এই ভেবেই কাজ করেছিলাম যে চুলোয় যাক চিত্রনাট্য। কী পেলাম সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ছবিটি নিবেদন করেছে সুগম হোমস। আগে কলকাতার পাড়ায় পাড়ায় যে পাড়াতুতো সংস্কৃতি দেখা যেত — সবাই সবাইকে এক কথায় সাহায্য করতে প্রস্তুত, সমষ্টিগতভাবে একে অপরের জন্য বেঁচে থাকা — সেই বার্তাই এই ছবির মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চেয়েছে সুগম হোমস। এই লকডাউনের সময় যা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই বার্তা তাদের ব্র্যান্ড মিশন ‘হ্যাপি কমিউনিটি হোমস’ তৈরি করার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কী বলছেন সুগম গ্রুপের চেয়ারম্যান অশোক সরাফ? ‘আমরা ইন্ডাস্ট্রির লেজেন্ডদের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে ধন্য। আমরা এই ছবিতে সমষ্টিগতভাবে থাকার যে উপকারিতা এবং তা কেমনভাবে একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে সেটাই দেখানোর চেষ্টা করেছি ছবিতে। এটা আমাদের ব্র্যান্ড ইথোস ‘শান্তির এবং সুখের বাড়ি’ তৈরি করার উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিলে গিয়েছে।’
সুগম হোমস নিবেদিত ‘C/o চ্যাটার্জিস’ অনলাইনে মুক্তি পেয়েছে ৯ মে, ২০২০।