আপনি কি টিকটক ব্যবহারকারী? জানুন নতুন গাইডলাইন
জনপ্রিয়তার নিরিখে আগেই প্রথম সারিতে ঢুকে পড়েছিল। আর লকডাউনে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে টিকটক অ্যাপ। গৃহবন্দী অবস্থায় এই অ্যাপ ডাউনলোড করে ছবি-ভিডিও বানিয়েই সময় কাটাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু এই বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা আবার দুশ্চিন্তারও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাকারদের নজরে টিকটকের অ্যাকাউন্ট। আর ঠিক এই কারণেই ইউজারদের সুরক্ষার জন্য নয়া গাইডলাইন আনল কেন্দ্র।
ডাউনলোডের নিরিখে সম্প্রতি ২০০ কোটির গন্ডী পেরিয়েছে টিকটক। তার প্রতি ইউজারদের আকর্ষণের সামনে হার মেনেছে ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, টুইটারের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিও। তাই এই টিকটক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেই ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। তাদের সেই উদ্দেশ্য যাতে পূরণ না হতে পারে, সেই জন্যই নতুন গাইডলাইন ঘোষিত হয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস (ISEA) কোন কোন বিষয়গুলির দিকে নজর রাখতে বলছেঃ
১. অ্যাপের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি সেকশনে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টকে প্রাইভেট করে রাখার অপশন পাবেন। সবাই আপনাকে খুঁজে পাক, এমনটা যদি না চান তাহলে অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট রাখুন।
২. নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার ভিডিও অন্য কেউ ব্যবহার করুক। তাই নিজের ভিডিওর ডাউনলোড অপশনটি সুইচড অফ করে রাখুন।
৩. কে কে আপনার ভিডিওতে কমেন্ট করতে পারে, সেই উপর একটা বিধিনিষেধ জারি করে রাখুন। শুধু বন্ধুরা অথবা কেউই নয় অপশন বেছে নিতে পারেন। যদি সকলকে কমেন্ট করার অনুমতি দেন, তাহলে অবশ্যই তা যাচাই করুন। দেখুন কেউ অশালীন বা অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছে কি না।
৪. ISEA জানাচ্ছে, অভিভাবকরাও যাতে এই অ্যাপের খুঁটিনাটি জেনে রাখেন, তাহলে উপকৃত হবে সন্তানরা। তাঁদের গোপন তথ্য চুরি যাতে না হয়, সেই দায়িত্ব মা-বাবাকেও নিতে হবে।
৫. ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে চাইলে Stich or Duet সীমাবদ্ধ রাখুন। ভিডিওর ক্ষেত্রে শুধু বন্ধুদের অনুমতি দেওয়াই ভাল।
৬. কমেন্টের মতোই ভিডিওতে লাইক বা রিএকনশনের ক্ষেত্রে সকলকে অনুমতি না দেওয়াই ভাল। আপনার টিকটক ভিডিও দেখে কারা রিএক্ট করবে, তা আপনিই ঠিক করে দিন।
৭. অপ্রীতিকর কোনও মন্তব্য পেলে বা হেনস্তার শিকার হলে বিলম্ব না করে সেই অ্যাকাউন্টটি ব্লক করুন এবং রিপোর্ট করুন।