বাংলা চ্যানেলে বন্ধ হল চার চালু সিরিয়াল! ভয়ংকর ভবিষ্যতের দিকে স্টুডিয়োপাড়া?
লকডাউনের জেরে টলিপাড়ায় বন্ধ হতে চলেছে চারটি ধারাবাহিক। বিভিন্ন সূত্র মারফত এই খবরই এখন ঘুরছে চারিদিকে। একটি বিনোদন চ্যানেলের চারটি চলতি ধারাবাহিক আর সম্প্রচারিত হবে না এমনটাই শোনা যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা না হলেও করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কাই যে এর মূল কারণ তা স্পষ্ট। বর্তমানে বিজ্ঞাপন কমে গিয়েছে সংবাদপত্রের। এরপর বিজ্ঞাপন কমার সমূহ সম্ভাবনা টেলিভিশনেও। ফলে বিজ্ঞাপন বাবদ যা আয় হতো সেই কোপ এসে পড়বে প্রযোজক, স্টুডিয়ো মালিক থেকে শুরু করে সব কলাকুশলীদের উপর।
১৮ মার্চ থেকে বন্ধ শ্যুটিং। যদিও ১২ মে এডিটিং এর অনুমতি এলেও শ্যুটিং কবে শুরু হবে তা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। এছাড়াও শ্যুটিং ঘিরে জারি হয়েছে একাধিক সতর্কবার্তা। এই সব কিছু মেনে ফ্লোরে শ্যুটিং করা কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বাড়িতে থেকে মোবাইল ফোনে শ্যুটিং করে কিংবা জনপ্রিয় পুরনো সিরিয়ালের এপিসোড দেখিয়ে কতদিনই বা চলবে।
এভাবে চলতে থাকলে সব চ্যানেলেই টি আর পি পড়ে যাবে। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ যত বাড়ছে ততই জোরালো হচ্ছে আশঙ্কা। এভাবে চলতে থাকলে প্রায় সব চ্যানেলের পক্ষ থেকেই ধারাবাহিকের বাজেট কমবে।
তবে বাজেটের সঙ্গে অনেকগুলি বিষয় জড়িত। শ্যুটিংয়ে যে বিষয়গুলির কথা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে সেক্ষেত্রে এক একটি সিনে তিনজনের বেশি কিছুতেই কোনও চরিত্র রাখা যাবে না। ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রাখা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনে শ্যুটিং করতে হলে বদলাতে হবে চিত্রনাট্যের ফরম্যাট। হাতে গ্লাভস পরে বা পিপিই কিট পড়ে মেকআপ আর্টিস্টদের ক্ষেত্রে মেকআপও কার্যত অসম্ভব। ওইভাবে কিছুতেই সূক্ষ্মতা আনা যায় না।
এমন আশঙ্কা অনেক কলাকুশলীই করছিলেন। জমানো টাকা আর সঞ্চয়ে এভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিনই বা আর চলবে। টলিপাড়ার অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীই এপিসোড ভিত্তিক পারিশ্রমিকে কাজ করেন। সকলের মাসমাইনে নেই। ফলে সমস্যা আরও জটিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।