ওয়ার্ক ফ্রম হোমই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, সিদ্ধান্ত ট্যুইটারের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জাল কেটে বেরনোর পথ খুঁজছে গোটা বিশ্ব। তবে সবার কাছে এইটুকু পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, করোনাত্তোর পৃথিবী আর আগের মতো থাকবে না। একাধিক বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে নাগরিকদের। এই অবস্থায় পথ হাতরাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। কারণ, দীর্ঘ দিন বন্ধ তাদের দপ্তর। কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। কর্মীদের দিয়ে কতদিন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করানো সম্ভব তা নিয়ে চিন্তায় সংস্থাগুলির কর্তাব্যক্তিরা।
এই অবস্থায় পথ দেখিয়েছে গুগল ও ফেসবুক। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তাদের অধিকাংশ কর্মীকে বাড়িতে বসে কাজ করারই পরামর্শ দেওয়া হবে। কমপক্ষে এই বছরের শেষ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে বলে জানিয়েছে এই দুই ‘টেক জায়ান্ট’। এবার কয়েক ধাপ এগিয়ে আরও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিল মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার।
মঙ্গলবার সংস্থার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের আগে তাদের কোনও অফিসই খোলার সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি, লকডাউন উঠে গেলেও বেশিরভাগ কর্মীদেরই স্থায়ীভাবে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। এর ফলে নিরাপদে থাকতে পারবেন কর্মীরা। এ বিষয়ে ট্যুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক মাসে আমরা প্রমাণ করেছি, এভাবেও কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই আমাদের কর্মীরা যদি বাড়ি থেকে কাজ করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে তাঁরা তা স্থায়ীভাবে চালিয়ে যেতে পারেন। আমরা তার বন্দোবস্ত করব।’ ট্যুইটারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, অফিস খুলতে গেলে সুপরিকল্পিতভাবে ধাপে ধাপে একটা করে অফিস খুলতে হবে। তবে, একটা-দু’টো ব্যতিক্রম ছাড়া সেপ্টেম্বরের আগে কোনও অফিসই খোলা সম্ভব নয়। তাছাড়া অফিস খুললেও, তা কখনওই রাতারাতি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে না। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ্য করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেওয়ার সময় ট্যুইটারই ‘সিলিকন ভ্যালি’-র সংস্থাগুলির অন্যতম যারা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।