বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার বর্ষপূর্তি – বাংলার এক কালো দিন
১৪ই মে ২০১৯। কলকাতার বুকে ঘটে যায় এক বর্বরোচিত ঘটনা। বাংলার বুকে ভাঙা হল বাংলা ভাষার জনকের মূর্তি। যিনি আমাদের বর্ণের সাথে পরিচয় করিয়েছেন। খোদ কলকাতার বুকেই রাতের অন্ধকারে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙল একদল দুষ্কৃতি। গোটা দেশের জন্যেই ছিল দিনটি একটি কালো দিন।
রাজা রামমোহন রায় বা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরদের মূর্তি ৭০ এর দশকে নকশাল আন্দোলনের সময়ে অনেকবার ভাঙা হয়েছে। নকশাল আন্দোলনের ঘোষিত নীতিই ছিল সেটা। কিন্তু প্রায় পাঁচ দশক পরে আবার ঘটানো হল সেই বর্বর ঘটনা।
কিছু দুষ্কৃতি একটি বিশাল মিছিলের আড়ালে কলেজে ঢুকে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে, মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে দেয় আর তার পরে বিদ্যাসাগরের একটি আবক্ষ মূর্তি ভাঙে।
বিষয়টি নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। সব দল একে অপরকে দোষারোপ করেছে। সেদিন সেই মূর্তিটিকেই শুধু নয়, ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছিল বাংলা ভাষা, বাংলার সংস্কৃতিকে। রাজনৈতিক মুনাফার কারনে আঘাত হানা হয়েছিল পুরো একটি জাতির ওপর।
আজ সেই নক্কারজনক ঘটনার এক বছর কেটে গেছে। আজও হয়তো প্রতিটি বাঙালির মনে সেদিনের সেই ক্ষত দগদগ করছে। কিন্তু এর কি সত্যিই কোন প্রতিকার রয়েছে? নাকি বারবারই এভাবেই আঘাত হানা হবে সংস্কৃতির ওপর! আর কতদিন বাঙালি নিজ ভূমেই নিজের সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত হতে দেখবে?