বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে খুলে গেল তাঁতের হাট

May 14, 2020 | 2 min read

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই বুধবার কালনার ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে দুটি তাঁত কাপড়ের হাট চালু হল। হাটের প্রথমদিন উপস্থিত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উৎসাহ দেন মন্ত্রী তথা তন্তুজের চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ। প্রথমদিন দুই জায়গা মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার শাড়ি বেচাকেনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন হাট থেকে মন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবার পুজোর জন্য তন্তুজ চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে শাড়ি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এবার ১০ কোটি টাকার শাড়ি কেনা হবে। মন্ত্রী ছাড়াও এদিন হাট চালুর সময় উপস্থিত ছিলেন কালনার মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মোহান্তি, বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস, হ্যান্ডলুম আধিকারিক পলাশ পাল প্রমুখ।

কালনার ধাত্রীগ্রাম, শ্রীরামপুরের অধিকাংশ মানুষ তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয়রা ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে আসা এক হাজারের বেশি তাঁতশিল্পী এখানে কাজ করেন। বাম আমলে এখানকার তাঁতশিল্প প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। তৃণমূল সরকার আসার পর লোকসানে চলা তন্তুজ নতুন ভাবে রূপ পায়। ক্লাস্টার, স্বনির্ভর গোষ্ঠী সহ প্রকৃত তাঁতিশিল্পীদের কাছ থেকে সরাসরি ক্যাম্প করে শাড়ি কেনা শুরু হয়। ক্লাস্টারের মাধ্যমে তাঁতিশিল্পীদের উন্নত প্রশিক্ষণ চলে। বিপণনে আধুনিকতা আসায় ঘুরে দাঁড়ায় তন্তুজ। এর ফলে ওই এলাকার তাঁতশিল্পীরা আশার আলো দেখতে পান। কিন্তু করোনার জেরে লকডাউনে ফের অন্ধকার নেমে আসে তাঁতশিল্পীদের জীবনে। বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েন তাঁরা। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন সকলে। তাঁতশিল্পীদের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রী। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁতের হাট খোলার অনুমতি দেন। এদিন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধাত্রীগ্রাম ও সমুদ্রগড়ের তাঁতের হাট চালু হয়।

ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে খুলে গেল তাঁতের হাট

মন্ত্রী বলেন, লকডাউনের প্রকৃত তাঁতিশিল্পীদের অভাবের সুযোগ নিয়ে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী কম দামে শাড়ি কিনেছেন। তাঁতিরাও বাধ্য হয়ে তা বিক্রি করেন। হাট চালু হওয়ায় ফের সঠিক দামে শাড়ি বিক্রির সুযোগ এসেছে। এছাড়াও তন্তুজ তাঁতিদের কাছ থেকে পুজোর আগে যে শাড়ি কেনে তার সময় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার থেকে তার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রকৃত তাঁতিরা সরাসরি তা বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্যই গুণগত মান ঠিক থাকতে হবে। এবার ১০ কোটি টাকার শাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত হলেও প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।

এব্যাপারে তাঁতশিল্পী কালিদাস বসাক, রাজু বসাক, রামপ্রসাদ বসাক বলেন, লকডাউনের জেরে উৎপাদিত শাড়ি আমরা বিক্রি করতে পারছিলাম না। শাড়ি বিক্রির জায়গা পাচ্ছিলাম না। কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তাঁতহাট চালু হওয়ায় সেই অভাব এবার মিটবে। তন্তুজ শাড়ি কিনলে লাভের মুখ দেখতে পাব।

যদিও সমুদ্রগড়ের রেল বাজারে বৃহত্তম তাঁতহাটটি চালুর দাবি করেছেন স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা। এনিয়ে তাঁতহাটের মালিক সমিতির তরফে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বিডিওর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Srirampur, #Weaving market, #Dhatrigram

আরো দেখুন