দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত ২৪ পরিযায়ী শ্রমিক, আহত বহু
রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্ণৌ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আউরিয়া জেলার মিহৌলি জাতীয় সড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হল। আহত বহু। শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরিযায়ী শ্রমিকের দলটি রাজস্থান থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে ফিরছিল।
আউরিয়ার জেলাশাসক অভিষেক সিংহ সকালে বলেন, রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। ওই শ্রমিকেদের অধিকাংশই বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার দিকে নজর রেখেছেন। দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার পাশাপাশি কমিশনার ও আইজি কানপুরকে তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্চনা শ্রীবাস্তব জানান, ২৪ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৫ জন সেইফাই পিআইজি-তে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি আহতদের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই উত্তরপ্রদেশে তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের। তার আগে বুধবার রাত ১১টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলার মুজফ্ফনগর-সাহারানপুর হাইওয়েতে সরকারি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গিয়েছিল ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের। পঞ্জাব থেকে হেঁটে বিহারের গোপালগঞ্জে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন ওই শ্রমিকরা।
ওই দিনই রাতেই মধ্যপ্রদেশের গুনার কাছে ক্যানটনমেন্ট থানা এলাকায় ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে ৮ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৫৪ জন। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের কাছে মালবাহী ট্রেনে পিষ্ট হয়ে ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
ঘরে ফেরার পথে একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবারই উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রত্যেক আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছিল, পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে কোনওভাবে হেঁটে বাড়ি ফেরেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে। সেই নির্দেশ দেওয়ার পরও রাজ্যে একাধিক দুর্ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু হওয়ায় প্রশাসনিক নজরদারি ফের প্রশ্নের মুখে।