হাঁটছেন যাঁরা, থামাব কী করে: সুপ্রিম কোর্ট
পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে ভাত জোগানোর দায় কার? রাজ্যের? কেন্দ্রের? নাকি আদালতের? লকডাউনের চতুর্থ পর্বের মুখে দাঁড়িয়েও নিয়ে এই টানাপোড়েন শেষ হল না। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি নিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছিল তা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ‘কে হাঁটছে আর কে হাঁটছে না, আদালতের পক্ষে তার উপর নজর রাখা অসম্ভব। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা সরকারই নিক, আদালত কেন নাক গলাবে?’
আদালত যে দিন এ কথা জানিয়ে দিল, সেদিনও অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুমিছিলে ছেদ পড়েনি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের নানা প্রান্তে একাধিক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে ১০ মাসের এক শিশুকন্যারও। জখম হয়েছেন ৯৫ জন। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বারাবাঁকিতে। সুরাট থেকে বাহরাইচে ফিরছিলেন পরিযায়ীদের একটি দল। গভীর রাতে লখনৌ-অযোধ্যা জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা, যদিও কোনও ট্রাক তাঁদের গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। তখনই প্রবল গতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে জালাউনে। মুম্বই থেকে শ্রমিকদের নিয়ে ফেরা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অন্য একটি ট্রাকের। প্রাণ যায় অন্তত দু’জনের। জখম ৪০ জনের বেশি। মুম্বই থেকেই ৭০ জন শ্রমিককে নিয়ে ফেরার পথে বাহরাইচের কাছে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় আর একটি ট্রাক। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩৫ জন। দুর্দশার একই চিত্র দক্ষিণেও।