অন্ধ্রপ্রদেশ ফেরৎ পড়ুয়াদের নিয়ে বিক্ষোভ জংশন এলাকায়
শনিবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা একশোরও বেশি পড়ুয়াকে জংশনের এক হোটেলে রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। জিটিএ প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টাপার্থির সত্য সাঁইবাবা আশ্রম থেকে পাহাড়ের ১১৭ জন পড়ুয়া জংশনে পৌঁছয়। স্থানীয়রা এই খবর পেয়ে পড়ুয়াদের এলাকার হোটেলে ঢুকতে বাধা দেয়। স্থানীয়রা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ সাহাকেও বচসার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। পরে প্রধান নগর থানার আইসি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে ওই হোটেলটিকে কোয়ারান্টিন সেন্টার করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স আসার খবরও ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এসেছিল বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায় বলেন, রাতে পড়ুয়াদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় জিটিএ চেয়ারম্যান আমাদের কাছে জায়গা চেয়েছিলেন। সেই মতো হোটেলের বন্দোবস্ত করা হয়। জিটিএ চেয়ারম্যান হোটেলে উপস্থিত রয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে জানতে জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেন নি।
অন্যদিকে তামিলনাড়ূ থেকেও পাহাড়ের দশ জন বাসিন্দা সরাসরি টার্মিনাসে এসে পৌঁছয়। তাঁদের পরে পাহাড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে রামপুরহাট থেকে একটি বাস আসে। সেই বাসে ১৬ জন দার্জিলিং,৩ জন কালিম্পং ও ১৫ জন শিলিগুড়ি মহকুমার বাসিন্দা ছিলেন। এঁদের মধ্যে পাহাড়ের ১৯ জনকে ঘরে পাঠানো হয়। বাকিদের ফাঁসিদেওয়া কোয়ারান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও, এদিন শহর ও মহকুমায় আটকে থাকা উত্তরাখন্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। মালদা, বীরভূম,বর্ধমান,কোচবিহার,মুশির্দাবাদ ও নদিয়ার উদ্দেশ্যে মোট ৪টি বাস রওনা দেয়। মোট ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফেরৎ পাঠানো হয়।