স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনে কমবে ডেঙ্গি, আশায় পুর-স্বাস্থ্যকর্তারা

May 17, 2020 | 2 min read

করোনা ঠেকাতে গিয়েই এখন হিমসিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের। তার মধ্যেই বর্ষা এসে যাওয়ার উপক্রমে ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। তাই লকডাউনের মধ্যেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে নেমে পড়েছে কলকাতা পুরসভাও। রাজ্যের অন্যান্য পুর-এলাকাতেও ডেঙ্গি-দমন অভিযান শুরু হয়েছে পুরোদমে।

করোনার দিকে বেশি মনোনিবেশ করতে গিয়ে ডেঙ্গি যাতে মাথাচাড়া না দেয়, সে জন্য সবাইকে আগাম সতর্ক করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জাতীয় ডেঙ্গি দিবসে টুইট-বার্তায় ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে নিযুক্ত সব স্বাস্থ্যকর্মীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সতর্কও থাকতে বলেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ মেনে করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ডেঙ্গি-দমন অভিযানে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে কলকাতা পুরসভা। লকডাউনের জন্য যাতে কাজ থমকে না যায়, সে জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। যাঁরা শহরের বাইরে থাকেন, তাঁদের পুরসভার বিভিন্ন কমিউনিটি হল এবং হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। করোনা প্রতিরোধের সঙ্গে ডেঙ্গির মশার লার্ভা ধ্বংসের কাজও চলছে সমানতালে। চলছে মাইক প্রচার।

পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ শনিবার বলেন, ‘লকডাউন চললেও ডেঙ্গি-দমন অভিযান চলছে জোর গতিতেই। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন। বাড়ির লোক রাজি থাকলে তবেই তাঁরা আবাসন অথবা বাড়ির ভিতরে গিয়ে কোথাও মশার লার্ভা আছে কিনা, খোঁজখবর নিচ্ছেন।’

লকডাউনে কমবে ডেঙ্গি, আশায় পুর-স্বাস্থ্যকর্তারা

পুরসভার মুখ্য কীটপতঙ্গ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস বিশ্বাস জানাচ্ছেন, লকডাউনের ফলে একদিক থেকে শাপে বর হয়েছে। মানুষ খুব একটা ঘরের বাইরে বেরোচ্ছেন না। বাইরে থেকেও লোক আসছেন না। তাই একজনের থেকে আর একজনের শরীরে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। তাতে মাইক্রোলেভেল ট্রান্সমিশন কমবে। তাঁর কথায়, ‘লকডাউনের কারণে প্লাস্টিকের কাপ, মাটির ভাঁড়, ডাবের খোলা, জল ও কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতলও রাস্তাঘাটে কম জমা হচ্ছে। করোনার জন্য গোটা শহরে সাফাই অভিযান চলছে। মনে হয় তার একটা সুফল পাওয়া যাবে।’ তবে বাড়ি বা আবাসনে ঢুকে মশার লার্ভা খোঁজার কাজ এখন পুরোপুরি হচ্ছে না। কারণ, করোনা-আবহে অনেকে পুরকর্মীদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না।

তালতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সন্দীপন সাহা বলেন, ‘মশার লার্ভা খুঁজতে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গেলেও অনেকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। সেটা একটা সমস্যা।’ বালিগঞ্জ এলাকার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়িতে ঢোকার অনুমতি নেই। তাই আমরা বাড়ির মালিককে ডেকে বলে দিচ্ছি, ভিতরে কোথাও জল জমে থাকলে তিনি যেন সেটা দেখে নেন।’ ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অসীম বসু বলেন, ‘যাঁরা বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না তাঁদের আমরা বলছি, যদি কোথাও জল জমে থাকে তার দায়িত্ব কিন্তু তাঁদেরকেই নিতে হবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#dengue, #Lockdown, #health workers

আরো দেখুন