চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে চলতি মাসেও বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা কম
করোনা নিয়ে বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি তাতে চলতি মাসে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য চালুর তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনটাই মনে করছেন এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষজন। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে আগামী ৩০ মে অবধি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাঝে ঈদও রয়েছে। তাই এই সময়ের মধ্যে চ্যাংরাবান্ধা-বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য চালু নিয়ে তেমন কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না অনেকেই।
উল্লেখ্য, এই সীমান্ত দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য চালুর কথা বলা হলেও করোনার কারণে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেই গাইডলাইন জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাবসায়ীদের তরফে শুল্ক দপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠি দেওয়া হয়। যেহেতু লকডাউনের কারণে পাটবীজ নিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে ৬১ জন ভারতীয় ট্রাক চালক ওই দেশে আটকে পড়েছিলেন।
প্রশাসনিক অনুমতি দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হলেও প্রশাসনের তরফেই তাদের দেশে ফেরানো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। ৩৮ দিন পর প্রশাসনই অবশ্য বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। বর্তমানে তাঁদের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের আইটিআই কোয়ারান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাই এই ঘটনায় অনেকের মনেই পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাণিজ্য করার আগে তাই সকলেই প্রশাসনের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হতে চাইছেন। চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাণিজ্য করার নিয়ম কানুন জানতে চেয়ে প্রশাসনের নানা মহলে চিঠি পাঠানো হলেও সেই চিঠির কোনও উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি বলে ব্যবসায়ী সূত্রের খবর। তাই বৈদেশিক বাণিজ্য চালুর বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।
চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ভরত প্রসাদ গুপ্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছেনা।’ সংগঠনের সম্পাদক বিমল কুমার ঘোষ জানান, বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত নিয়ম কানুন জানতে চেয়ে বিভিন্ন মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক কি হয়।