লকডাউনের জেরে সমস্যায় গুমানিহাটের ঢাকিরা
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজিয়ে চলে সংসার। কিন্তু লকডাউনের জেরে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন গুমানিহাটের ঢাকিরা।
করোনার কঠিন থাবা থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। জমায়েত এড়াতে বন্ধ পুজো, বিয়ের অনুষ্ঠান, অন্নপ্রাশন সহ সমস্ত সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি থেকে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় চড়ক পুজো, ১লা বৈশাখ, এছাড়াও বৈশাখ মাসে প্রচুর বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে। দিনগুলির অপেক্ষায় বসে থাকেন মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গুমানিহাটের বেদ পাড়ার ঢাকিরা। কারণ তাঁরা এই সময়ে ঢাক বাজিয়েই ভালো আয় হয় তাঁদের। কিন্তু এই বছর লকডাউনের জেরে তা আর হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে জমানো অর্থ শেষ হওয়ার মুখে।
ফলে খুব সংকটে দিন চলছে বলে জানান ঢাকি পাড়ার চক্রবর্তী দাস, দুলাল দাস, তপন দাস, জ্যোতিষ বেদ, যদু বেদ, দীনেশ বেদ, মধু বেদ প্রমুখরা। ভবিষ্যতে লকডাউন যদি বাড়ে তাহলে না খেয়েই দিন কাটাতে হবে বলে জানান গৃহবধূ কাঞ্চন বেদ।
এই বিষয়ে ঢাকি মতি বেদ বলেন, ‘যেহেতু লকডাউন চলছে, ফলে অধিকাংশ বিয়ে বা পূজার অনুষ্ঠান বন্ধ। তাই তাঁদের কেউ এখন ডাকে না। এদিকে কোথাও যেতেও পারছিনা, রোজগার প্রায় বন্ধ। এই অবস্থায় খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।’
এছাড়াও অন্য একজন বাদক চক্রবর্তী দাস বলেন, ‘আমাদের বাজনা বাজিয়েই সংসার, এখন তো সব বন্ধ যার ফলে খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। এই গুমানিহাটের ঢাকি পাড়ায় প্রায় ৩০টি পরিবার ঢাক বাজিয়ে সংসার চালান। সব মিলিয়ে এই লকডাউনে গুমানিহাট ঢাকি পাড়ায় অভাবের কালো ছায়া হাত বাড়িয়েছে তা বলাই যায়।’ জানা গিয়েছে, কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।
এই বিষয়ে বিডিও রজত রঞ্জন দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন না করায় যোগাযোগ করা যায়নি। লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনদা বর্মন ঢাকিদের সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, তাদের সাহায্য করা হবে।