লকডাউনে কর্মীদের বেতন কাটলেও হবে না শাস্তি! মালিকপক্ষকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট
লকডাউনে কর্মীদের বেতন কাটলেও মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ফলে, সমস্যায় পড়তে চলেছেন দেশের লক্ষ লক্ষ বেসরকারি চাকরিজীবী।
লকডাউন চলাকালীন যাতে বেসরকারি কর্মীদের বেতন না কাটা হয় তা নিশ্চিত করতে গত ২৯ মার্চ একটি নির্দেশিকা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। যাতে বলা হয়, যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন কোনও বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের বেতন কাটতে পারবে না। কলকারখানা থেকে শুরু করে ছোট দোকান পর্যন্ত, সকল ছোটবড় সংস্থাই এর আওতায় ছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই নির্দেশিকায় বিরুদ্ধে গতমাসের শেষের দিকে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে তিনটি বেসরকারি সংস্থা। তাঁরা এই নির্দেশিকার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শুক্রবার বিচারপতি এন ভি রামান্না, সঞ্জয় কিষাণ কৌল, এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। কিন্তু কেন্দ্র এ বিষয়ে নিজেদের যুক্তি দেখানোর জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নেয়। তারপরই আদালত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এই স্থগিতাদেশের ফলে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত কর্মীদের মাইনে কাটলেও মালিকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
করোনার জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার মার। রাষ্ট্রসংঘ আগেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, করোনার জেরে গোটা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ কাজ হারাবেন। রাষ্ট্রসংঘের সতর্কবাণীই সত্যি হচ্ছে ভারতে। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে, করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউনের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে দেশের কর্মসংস্থানে। গরিব মানুষের পাশাপাশি চরম সমস্যায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তরা। বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থায় চাকরিজীবীরা বাড়তি সমস্যায় পড়ছেন। বেসরকারি ক্ষেত্রে একদিকে যেমন বহু মানুষের চাকরি যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি ব্যাপক হারে কমানো হচ্ছে বেতন। যার ফলে চরম দুর্দশার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আম আদমিকে। একটি সমীক্ষা বলছে, লকডাউনের ফলে দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। কেন্দ্র এই পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করলেও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেতে হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।