হোম কোয়ারান্টিনের বর্জ্য নিতে এজেন্সি
কোয়ারান্টিন-বর্জ্য বাড়ি-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে তার বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনায় মেডিক্যাল বর্জ্য-ব্যবস্থাপনায় যুক্ত পেশাদার সংস্থাকে কাজে লাগাতে নির্দেশ দিল রাজ্য পুর-দপ্তর। এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন পুরসভা এবং পাঁচটি পুরনিগমকে। এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, হোম কোয়ারান্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বর্জ্য সংগ্রহ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে না করলে অনেকের সংক্রমণের আশঙ্কা। সে কারণেই এই পদক্ষেপ।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, বড্ড দেরি হয়ে গেল। কারণ, এখন লকাডাউনের ৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে এতদিনে অনেকের ১৪ দিন ঘরে থাকার পর্বও মিটে গিয়েছে। তাঁদের বর্জ্য ইতিমধ্যেই যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়েছে কি না, কেউ জানে না। ওই বর্জ্য ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই কোয়ারান্টিনের বর্জ্য নিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তবে উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই এই জাতীয় বর্জ্য-সংগ্রহে দু’টি সংস্থাকে নিযুক্ত করেছে।
পুর-দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম এলাকায় করোনার প্রভাব বেশি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন, এমন নাগরিকদের মাস্ক, গ্লাভস-সহ বিবিধ চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহে বিশেষ ব্যবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে। এই জাতীয় বর্জ্য সংগ্রহ এবং তার ব্যবস্থাপনায় কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা নিয়ে মার্চেই অবশ্য নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল বিভাগ এখন দেখছেন দেবব্রত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দু’টি সংস্থাকে এই কাজের ভার দেওয়া হয়েছে। তারা ওই বর্জ্য সংগ্রহ করে হাওড়ায় নিয়ে গিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।’