লকডাউন ৪ – কি কি খুলছে পশ্চিমবঙ্গে?
গতকালই ঘোষণা হয়েছে চতুর্থ পর্বের লকডাউন। এই পর্যায়ে রাজ্যের হাতেই সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। কিছু বিধিনিষেধ অবশ্যই পালনীয়। ১০ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছরের বেশী বয়স্ক প্রবীণরা আপৎকালীন পরিস্থিতি ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোতে পারবেন না। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদি।
এবার দেখে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কি নির্দেশিকা জারি করলো রাজ্য সরকার।
কন্টেনমেন্ট জোন কে তিনভাগে ভাগ করা হবে
এ – এফেক্টেড (সব বন্ধ থাকবে)
বি – বাফার (আংশিক বন্ধ)
সি – ক্লিন (পুরোপুরি খোলা থাকবে)
২১ মে রাজ্যে কি কি চালু হবে
সব দোকান (কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় উল্লিখিত দোকান বাদে)
আন্তঃ জেলা বাস পরিষেবা
২৭ মে কি কি চালু হবে
হকাররা দোকান খুলতে পারবেন। জোড়-বিজোড় ব্যবস্থায় খোলা হবে দোকান
বেসরকারি অফিস খোলা যাবে ৫০% কর্মী নিয়ে
সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা যাবে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মেনে
দু’জন যাত্রী নিয়ে অটো পরিষেবা
রাজ্যে নাইট কারফিউ ঘোষণা করা হচ্ছে না। কিন্তু লকডাউনের সব নিয়ম যথাযথভাবে মানতে হবে
লকডাউনের সময় অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ট্রেনে, বাসে বাংলায় ফিরেছেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুরোধ এই দুর্যোগের সময় রাজনীতি করবেন না
১৫টি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছেন। আমরা ১০৫টি ট্রেনের অনুমতি চেয়েছি। এরপর আরও ১০৫টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে
কেন্দ্রীয় সরকার বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিতে লজ্জা করে না?
নিজের খেয়াল নিজে রাখুন। মাস্ক পড়ুন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন
দোকান খুলে দেওয়া মানেই সেখানে গিয়ে ভিড় করবেন না