দর্জি, তাঁতিদের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বঙ্গীয় শ্রমিক সম্মেলন
লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম মঙ্গলা হাট সহ গার্মেন্টস নগরী মেটিয়াবুরুজ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাওড়া, উত্তর-দক্ষিন চব্বিশ পরগণা, হুগলী, মেদিনীপুর সহ দক্ষিনবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার ১২-১৩ লক্ষ দর্জি, মাঝারি ও ছোট ওস্তাগার। কাটিং মাস্টার, হোলসেলার, রিটেলারের, মুটিয়া, ওইসব অঞ্চলের গাড়িচালক, খাবার দোকানদার সহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যটা ১ কোটি ৫০ লক্ষ, যাদের জীবন জীবিকা আজ প্রশ্নের মুখে।
অনান্য বছর চৈত্রের শেষ থেকে ঈদ পর্যন্ত কাজের চাপ থাকে পুরোদমে। কিন্তু, এবছর করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন পরবর্তী ব্যবসা তো দুরস্ত দুবেলা দুমুঠো খাবারটুকু কষ্টে জুটছে। লকডাউনে কর্মীদের বেতন দিতে আর নিজের খাদ্যের সংস্থান করতে শেষ সম্বলও বেরিয়ে যাচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম দপ্তরে বাংলার অতি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে সরকারি স্বীকৃতি, আর্থিক প্যাকেজ, লোনের সরলীকরণ এবং কম সুদে লোনের ব্যবস্থার মত কতগুলো নিদিষ্ট দাবীর ভিত্তিতে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের শ্রমিক সংগঠন বঙ্গীয় শ্রমিক সম্মেলনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে গণ ইমেল করা হয়েছে।
জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সদস্যা তন্বী দাস জানান, তাদের দাবি, দর্জি শিল্পকে সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে, আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে এবং কম সুদে লোনের ব্যবস্থা ও করতে হবে। দর্জি ও তাঁতীদের জন্য জীবনবীমা ও স্বাস্থ্যবীমার দাবিও জানিয়েছেন তারা।